Naushad Siddiqui: লোকসভায় ক’টা আসনে প্রার্থী আইএসএফের, খোলসা করলেন নওশাদ

Jalpaiguri: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ না ঘোষণা হলেও ভোটপ্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি, তৃণমূল তো আছেই ময়দানে। ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাকি দলগুলিও।

Naushad Siddiqui: লোকসভায় ক’টা আসনে প্রার্থী আইএসএফের, খোলসা করলেন নওশাদ
উত্তরবঙ্গ সফরে নওশাদ সিদ্দিকী। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 5:25 PM

জলপাইগুড়ি: লোকসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। জলপাইগুড়িতে সোমবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। উত্তরবঙ্গে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, প্রার্থী দিয়ে হাসির খোরাক হতে চান না। মূলত, বিভিন্ন জেলায় দলের বাস্তব চিত্রটা ঠিক কীরকম, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই জেলা সফরে নওশাদ। রবিবার ১ অক্টোবর কোচবিহার যান তিনি। এরপর সোমবার যান জলপাইগুড়ি। সেখানে নওশাদের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ না ঘোষণা হলেও ভোটপ্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি, তৃণমূল তো আছেই ময়দানে। ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাকি দলগুলিও। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে আইএসএফের তরফে জানানো হয়েছিল, উত্তরবঙ্গের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারে আইএসএফ। এই ঘোষণায় জোর চর্চা শুরু হয়।

তবে সোমবার জলপাইগুড়িতে নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্যে ভিন্ন সুর। তিনি কার্যত মেনে নিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে সাকুল্যে ৪টিতে প্রার্থী দেওয়ার জায়গায় রয়েছে আইএসএফ। নওশাদ বলেন, “উত্তরবঙ্গ নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। সাংগঠনিক বিষয়টা দেখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বালুরঘাট পর্যন্ত যে লোকসভাগুলো আছে, আমাদের কাজ চলছে। কোথাও ধীরে চলছে, কোথাও ভাল চলছে। জলপাইগুড়িতেও ধীরে সুস্থে চলছে। আমরা যদি বুঝি ভোটের আগে আমাদের সংগঠন জলপাইগুড়িতে ভাল দাঁড়িয়ে গিয়েছে, আমরা ভাবব। আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে তবেই প্রার্থী দেব। ভোট কাটাকাটির খেলাতে না নেমে আমরা যেখানে ভাল ফল করব, সেখানেই প্রার্থী দেব। উত্তরবঙ্গের ৮টা কেন্দ্রের মধ্যে ৪-৫টা আমাদের নজরে আছে। সংগঠনটা আগে তৈরি করতে হবে। প্রার্থী দিয়ে দিলাম, হাসির খোরাক হব না। লড়াই দিতে পারব, সেখানেই প্রার্থী দেব।”

এমনিতে ‘ভোট কাটুয়া’ হিসাবে ‘দুর্নাম’ রয়েছে আইএসএফের। এ অভিযোগ কখনও রাজ্যের শাসকদল করে, কখনও আবার বিরোধীরা। শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু ভোট কাটতে আইএসএফের বঙ্গ রাজনীতিতে শামিল হওয়া। প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু ভোটই আইএসএফের মূল লক্ষ্য। উত্তরবঙ্গের মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারের বড় অংশে সংখ্যালঘু ভোটার। এই অবস্থায় কেবলমাত্র সংগঠন চাঙ্গা করতে না পারায় উত্তরের সবজেলায় প্রার্থী দিতে নাও পারে আইএসএফ।