Jalpaiguri Police: রোমিওদের শায়েস্তা করতে ছাত্রীদের তালিম দিল পুলিশ, চলল কুং-ফু, ক্যারাটে প্রশিক্ষণ
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি শহরের অরবিন্দ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এদিন শুরু হয় বিজয়িনী ক্যাম্প। রাস্তায় বেরিয়ে, কখনও কোনও বিপদের মুখে পড়লে, কীভাবে আত্মরক্ষা করবে তারা, সেই পাঠ দেওয়া হয়। চলে ক্যারাটে, কুং-ফু প্রশিক্ষণ। দক্ষ পুলিশকর্মীরা দিলেন প্রশিক্ষণ।
জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনে (Jalpaiguri Police Line) সোমবার সকাল থেকেই ছবিটা একটু অন্যরকম। উর্দিধারীরা তো রয়েছেনই, কিন্তু সেই সঙ্গে অনেক বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের ভিড়। সবাই স্কুল পড়ুয়া। ব্যাপার কী? একটু ঢুকতেই দেখা গেল, সুন্দর করে ক্যাম্প সাজানো হয়েছে। সেখানে বড় বড় করে লেখা ‘বিজয়িনী’। স্কুলের পড়ুয়াদের আত্মরক্ষার পাঠ দিতে, বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। পথে যাতায়াতের সময়, রোমিওদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে, তার পাঠ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তার জন্যই এই ব্যবস্থাপনা। জলপাইগুড়ি শহরের অরবিন্দ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এদিন শুরু হয় বিজয়িনী ক্যাম্প। রাস্তায় বেরিয়ে, কখনও কোনও বিপদের মুখে পড়লে, কীভাবে আত্মরক্ষা করবে তারা, সেই পাঠ দেওয়া হয়। চলে ক্যারাটে, কুং-ফু প্রশিক্ষণ। দক্ষ পুলিশকর্মীরা দিলেন প্রশিক্ষণ।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই বিজয়িনী ক্যাম্প চলবে পাঁচদিন ধরে। জেলার পুলিশ সুপার উমেশ খন্ডবহালে আজ এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন। সকাল প্রায় ৯টা নাগাদ শুরু হয় এই ক্যাম্প। শুধু আত্মরক্ষার পাঠই নয়, এর পাশাপাশি নারীদের বিভিন্ন অধিকারের বিষয়েও সচেতন করা হয় পড়ুয়াদের। একইসঙ্গে যৌন নিগ্রহ ও পাচার সংক্রান্ত বিষয়েও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাঠ দেওয়া হয় বিজয়িনী ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের। বিজয়িনী ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নীল রঙের একটি বিশেষ ধরনে টি-শার্টও দেওয়া হয়। টি-শার্টের গায়ে লেখা বিজয়িনী।
পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে ৫০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এই বিজয়িনী ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলার সব থানাগুলিতে এই ক্যাম্পের আয়োজন করে স্কুলের ছাত্রীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অরবিন্দ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষৌনিশ গুহও। স্কুলের ছাত্রীরা এমন আত্মরক্ষার তালিম দেওয়ার ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারায় খুশি তিনি। যাঁরা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিল, সেই ছাত্রীরাও বলছে, আগামী দিনে তাঁরা স্কুলের বাকিদেরও এই প্রশিক্ষণ দেবে এবং এর ফলে বাকিদেরও উপকার হবে।