Jalpaiguri Drug Case: মমতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাদক পাচারে অভিযুক্ত, ৩ বছর আগে দল থেকে বিতাড়িত, বিজেপির দাবি উড়িয়ে সওয়াল তৃণমূলের
Jalpaiguri: ঘটনায় যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গত ৩ বছর আগে যুব তৃণমুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কৌস্তভকে। কৌস্তভ তলাপাত্রর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য মিথ্যা, পাল্টা দাবি করে বিজেপি।
জলপাইগুড়ি: মাদক পাচার কাণ্ডে জড়িত যুব তৃনমূল নেতা। পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিলেন তিনি। সেই নেতাই আবার উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে। তাও আবার ভিআইপি কার্ডে। সেই বিষয়টিকেই ইস্যু করল বিজেপি। ঘটনার তদন্তে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হস্তক্ষেপ দাবি জানাল বিজেপি।
গত ২১ অক্টোবর ৬০ লক্ষ টাকার মাদক পাচার করতে গিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্র। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জনকে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ২২ শে অক্টোবর আদালতে পেশ করে। এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনায় যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গত ৩ বছর আগে যুব তৃণমুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কৌস্তভকে। কৌস্তভ তলাপাত্রর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য মিথ্যা, পাল্টা দাবি করে বিজেপি।
বিষয়টি প্রমাণ-সহ তুলে ধরতে সোমবার দুপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি0 সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তিনি দাবী করেন, গত কয়েক বছরে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। গত ২০২০ সালে মার্চ মাসে বাংলার গর্ব মমতা এই কর্মসূচি লঞ্চিং অনুষ্ঠানের ভিআইপি আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম ছিল।
তাই এই ঘটনার পেছনে আরও অনেক তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির বক্তব্য, কৌস্তুভ তলাপাত্রর আর্থিক পরিস্থিতি এতটা স্বচ্ছল নয়, যে তিনি নিজে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্রাউন সুগার কিনে তা বিক্রি করতে পারেন৷ এর পেছনে তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা জড়িত, যাঁরা অর্থের সংস্থার জুগিয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিজেপি।
ঘটনায় বিজেপির লিগাল সেলের কনভেনার সৌজিত সিংহ বলেন, “গত ২১ তারিখের পর থেকে কৌস্তভের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক কিছু ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে তৃণমূল দলদাস করে রেখেছে। তাই এই ঘটনার চার্জশিট কী দিল, আমরা সেই দিকে যেমন নজর রাখব, একইসঙ্গে এই ঘটনা এনসিবি তদন্ত করুক, এটা দাবি আমাদের।”
ঘটনায় যুব তৃনমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুব তৃণমূলের সাধারন সম্পাদক অজয় শা বলেন, “২০১৯ সাল থেকে কৌস্তভের সঙ্গে যুব তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” উলটে তিনি দাবি করেন, কৌস্তভ বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর একধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূলও।