Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: দল পাশে ছিল না! শবদেহ-কাণ্ডে জামিন পাওয়ার পরই তৃণমূল ছাড়ছেন অঙ্কুর দাস

Jalpaiguri: তৃণমূল প্রভাবিত অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস তাঁর বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দল তাঁর পাশে ছিল না বলে অভিযোগ অঙ্কুরের।

Jalpaiguri: দল পাশে ছিল না! শবদেহ-কাণ্ডে জামিন পাওয়ার পরই তৃণমূল ছাড়ছেন অঙ্কুর দাস
অঙ্কুর দাস (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 8:09 AM

জলপাইগুড়ি: তৃণমূল ছাড়লেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুর দাস। জলপাইগুড়িতে শবদেহ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পাঁচদিন পর জামিন পান তিনি। ছাড়া পাওয়ার পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর এবার তৃণমূল ছাড়ার কথা জানালেন তিনি। তৃণমূল প্রভাবিত অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস তাঁর বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দল তাঁর পাশে ছিল না বলে অভিযোগ অঙ্কুরের। তবে এখনই অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের দফতরে গিয়েছিলেন অঙ্কুর। অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দল ছাড়ার কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, তৃণমূল প্রভাবিত অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ২০০৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন পদে ছিলেন অঙ্কুর। তৃণমূল কিশান ক্ষেতমজুর সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু, অভিযোগের পর দলকে পাশে পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এতেই অভিমান হয় তাঁর।

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আইনি লড়াই লড়তে কোমর বাঁধছেন তিনি। এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অঙ্কুর। সেই কাজে তাঁকে কলকাতা যেতে হবে। ইতিমধ্যেই জেলা আদালতে কলকাতা যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন তিনি। অঙ্কুর আরও জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু আপাতত তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন না।

তবে তৃণমূল কিশান ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের দাবি, অঙ্কুর দাস কোনওভাবেই তৃণমূলের কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। অঙ্কুরকে তিনি এই মর্মে কোনও চিঠিও দেননি। অঙ্কুর প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘এর পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।’

কিছুদিন আগে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়িতে। অর্থাভাবে মায়ের মৃতদেহ শববাহী গাড়িতে নিয়ে না যেতে পেরে, পায়ে হেঁটে শ্মশানের পথে রওনা হয়েছিলেন  দিনমজুর ছেলে। মৃতদেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সাহায্য করা হয় শববাহী গাড়ি দিয়ে। তবে, এই ঘটনা সাজানো বলে অভিযোগ ওঠে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে।