করোনা আবহে রেস্তরাঁয় থিকথিকে ভিড়, ভাঙার নির্দেশ বিচারপতির
জুবিলি পার্কেই বিচারপতির আবাসনের সামনে বেআইনি রেস্তরাঁয় ভিড়। তাই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করে ভাঙার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ।
জলপাইগুড়ি: বিচারপতির আবাসনের সামনে বেআইনি রেস্তরাঁ। আর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই তাতে প্রতিদিন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। এই অবস্থায় তিস্তা পাড়ে গজিয়ে ওঠা রেস্তরাঁ ভাঙতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ।
তিস্তা পাড়ে এই রেস্তরাঁর মুখরোচক খাবার খেতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ব্যাপক হারে জমায়েত হয়। মুখ থেকে মাস্ক খুলে সেই দোকানের সামনেই খাবার খেতে শুরু করেন অনেকে। এর ফলে ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় ওই অবৈধ নির্মান ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ। এ নিয়ে তিনি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিলেন।
জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের অফিস সংলগ্ন তিস্তা পাড়ের জুবিলি পার্কেই বিচারপতির আবাসন। এই আবাসনের সামনে অনেকটা এলাকা জুড়ে এই ধরনের বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। এগুলির বেশিরভাগই দোকান। সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তিস্তা পাড়ে প্রায় ৫০০ মানুষের জমায়েত হচ্ছে। যা এই করোনাকালে ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। এই জমায়েতের কারণে করোনা সংক্রমন বাড়তে পারে বলে সার্কিট বেঞ্চের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ। মঙ্গলবার এমনটাই জানান কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী।
এই মর্মে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে আলাদাকরে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্যকেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন, জানান অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল সুদীপ্ত মজুমদার। বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার তদন্তে রাজ্যকে এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সিবিআই
এদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে এদিন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।