Elephant Attack: ঘুম থেকে উঠেই সাক্ষাৎ ‘যমদূতে’র দর্শন, ভোরবেলা মুখ ধুতে গিয়েই গেল প্রাণ
Maynaguri: মুখোমুখি বৃদ্ধা আর হাতি। নিমেষের মধ্যে সেই বুনো হাতি বৃদ্ধাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। তারপর বৃদ্ধার শরীর পিষে দিয়ে চলে যায় হাতিটি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার।
ময়নাগুড়ি: ফের হাতির হানায় মৃত্যু (Elephant Attack)। এবার ময়নাগুড়িতে (Maynaguri)। হাতির পায়ের তলা পিষে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে ময়নাগুড়ির রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে কালামাটি এলাকার বাসিন্দা রত্না ওরাও। বয়স ৬৫ বছর। এদিন ভোরে বাড়ির সামনেই মুখ ধুচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা। আর সেই সময়েই তাঁর সামনে সাক্ষাৎ যমদূতের মতো এসে হাজির হয় একটি দাঁতাল। একেবারে বাড়ির সামনে চলে আসে হাতিটি। মুখোমুখি বৃদ্ধা আর হাতি। নিমেষের মধ্যে সেই বুনো হাতি বৃদ্ধাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড়া মারে। তারপর বৃদ্ধার শরীর পিষে দিয়ে চলে যায় হাতিটি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার।
ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধার মৃত্যুতে এলাকাবাসীদের মধ্যে আরও চাগিয়ে বসেছে হাতির হানার আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশও। পুলিশ ওই বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই অঘটনের বিষয়ে রামসাই রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার প্রদ্যুৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশ্বাস দেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
বৃদ্ধার নাতি সঞ্জীব ওড়াও ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় জানান, এই এলাকায় নাকি মাঝে মধ্যেই হাতি আসে। পরশু দিনও নাকি হাতি দেখা গিয়েছিল। বাড়ির পাশেই একটি টিনের ঘর আছে। সেখানে আওয়াজ হচ্ছিল। সেই আওয়াজ শুনে বেরিয়ে এসে ঘরের বাকি লোকেরা এই দৃশ্য দেখতে পান। বৃদ্ধার যে ঘরটি ছিল, সেটিও হাতিটি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি তাঁর নাতির। পরিবারের বক্তব্য, বনকর্মীরা টহল দেন এলাকায়। কিন্তু নিয়মিত নয়। প্রতিদিন নজরদারি থাকলে হাতির হানা কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের তরফে যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা।