UPDATE Abhishek Banerjee: ‘বিচারক দা’ বলে অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে কটাক্ষ অভিষেকের
Loksabha Election 2024: অভিষেক বলেন, "আমার চ্যালেঞ্জ আপনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। বাংলায় একুশে হেরে যাওয়ার পর ১০ পয়সা দিয়েছেন ১০০ দিনে আর আবাসে প্রমাণ করুন। করলে আমি রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় নেব। হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছি। ৪৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বলছেন। ১০ পয়সা দিয়েছেন প্রমাণ করুন।"
ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাবে বৃহস্পতিবার জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে। বাংলার সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।
কী বললেন অভিষেক
- ১০০ দিনের কাজে কোচবিহারে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার শ্রমিক ছিলেন কেন্দ্র যাদের টাকা আটকে রাখে ২ বছর ধরে। এখানকার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। একটা চিঠি লিখেছে ৫ বছরে? : অভিষেক
- ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে, চাষের জল একাধিক ব্লকে পৌঁছে দিয়েছি, ১০০ দিনের কর্মীরা ২ বছর ধরে বিজেপি সরকার আটকে দিয়েছিল, আমরা টাকা দিয়েছি। ১ এপ্রিল থেকে সাধারণ পরিবারের সদস্যরা বছরে ১২ হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবে। কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। যারা আমার কথা শুনছেন, আমি এক কথার ছেলে। যেখানে লড়াই করার আমি লড়ব। আমি কথা পাল্টাই না। আপনার যা রাখবে আমি পৌঁছে দেব। যেখান থেকে জিনিস নেবেন সেখান থেকেই তো ওয়ারেন্টি নেবেন। বিজেপিকে ভোট দিয়ে তো বলতে পারেন না তৃণমূলকে বাড়ির টাকা কই? তৃণমূলকে ভোট দিন আর যদি বাড়ির টাকা না পান, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেব। যদি তৃণমূল সরকার বাড়ির টাকা না দেয়। তবে বাংলার লড়াইয়ে বাংলার পাশে থাকতে হবে। : অভিষেক
- দু’টো পোর্ডিয়াম রেখেছিলাম। একজন বিজেপি নেতা আসবেন। আসেনি। লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। পাগলা খাবি কি ঝাঁঝে মরে যাবি। ক্ষমতাই নেই আসার। : অভিষেক
- যত চোর চিটিংবাজ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিতে। আগেকার দিনে দেখতাম চোর চুরি করে, খুনি খুন করে বিচারব্যবস্থার নির্দেশে জেলে যাচ্ছে। এখন দেখছি যারা টিভির পর্দায় নির্লজ্জের মতো হাত বাড়িয়ে কাগজে মুড়ে টাকা নিয়েছে। সেইসব দুর্নীতিগ্রস্ত চোরেদের হাত ধরে বিচারকদা রাজনীতিতে ঢুকছে। ।
- প্রাক্তন বিচারপতিকে বিচারক দা বলে কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
- ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে কি না? ধূপগুড়ি ব্লকে ৬০ বেডের গ্রামীণ হাসপাতাল ১০০ বেডের মহকুমা হাসপাতাল হবে। তিন মাস লাগবে কারণ, আজ কালের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। আর তারপর কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয় না। নির্বাচন শেষ হবে মে মাসে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হবে। : অভিষেক
- এবারের ভোট কেন্দ্র সরকার নির্বাচনের ভোট নয়, প্রতিবাদের ভোট, প্রতিশোধের ভোট, প্রতিরোধের ভোট। যোগ্য উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট। : অভিষেক
- ভারতবর্ষের মানুষের সবার কাছ থেকে তো কাগজ চাইছেন, নাগরিকত্ব দেবেন বলে। নিজেদের কাছে কাগজ নেই? নিজেদের কাগজ কোথায়? : অভিষেক
- আমার চ্যালেঞ্জ আপনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। বাংলায় একুশে হেরে যাওয়ার পর ১০ পয়সা দিয়েছেন ১০০ দিনে আর আবাসে প্রমাণ করুন। করলে আমি রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় নেব। হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছি। ৪৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বলছেন। ১০ পয়সা দিয়েছেন প্রমাণ করুন। : অভিষেক
- আমিও পাল্টা লিখলাম, আমার সভা আছে ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে। ৩টের সময় দয়া করে বিজেপির কেউ আসতে চাইলে তথ্য় পরিসংখ্যান নিয়ে আসতে। কেউ কি এসেছে বিজেপির? কেউ এসেছে নাকি? আমি তো দুটো পোর্ডিয়ামও রেখেছি। একদিকে বিজেপির নেতা দাঁড়াবে, একদিকে আমি। এসেছে নাকি যুব মোর্চার কার্যকর্তা কেউ? : অভিষেক
- বিজেপি অনেক বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছি, ২০২১-এ বাংলায় পরাজয়ের পর কোনও বিজেপি নেতা যদি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাতে পারে আবাসের জন্য ১০ পয়সা কেন্দ্র থেকে পাঠিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে ১০ পয়সা পাঠিয়েছে তা হলে আমার সঙ্গে বিজেপি নেতা যে কোনও সংবাদমাধ্যমে বসতে পারে। এরপর বিজেপি এক্স হ্যান্ডেলে লিখব কোনও নেতা পাঠাবে না। ওরা যুব মোর্চার কর্মীদের পাঠাবে। : অভিষেক
- ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ৫ দিন আগে শিলিগুড়ি এসে বলেছেন, মোদী কা গ্যারান্টি। ৫ বছরে তো জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বিজেপির সাংসদ রয়েছে। এই তিন জেলা মিলিয়ে কম করে হলেও ৭ হাজার বুথ হবে। ৫ বছরে একটা বুথেও মানুষের জন্য পর্যালোচনা বৈঠক করেছে বলে দেখান, আমি তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে আসব না। : অভিষেক
- ২০২৪-এ নিজের অধিকার সামনে রেখে ভোট দিন। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, নির্দল যাকে খুশি দিন। নিজের অধিকারটা বুঝে নিতে দিন। : অভিষেক
- মানুষ চাইলে এদের দম্ভ ভাঙতে ৫ মিনিট লাগবে না। গণতন্ত্রে শেষ কথা মানুষ বলে। কোনও নেতা বলে না। ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সামনে রেখে ভোট দিয়েছিলেন, হয়েছে। ২০২৩-এর পঞ্চায়েতে আমি সর্বত্র গিয়ে অনুরোধ করেছিলাম ১০০ দিনের টাকা যাতে পান সেই অধিকার সামনে রেখে দিন। ভোট দিয়েছেন। ১০০ দিনের টাকা পেয়েছেন কি না বলুন? : অভিষেক
- এই আমরা যারা মঞ্চে বসে আছি, আমাদের মূল্য হচ্ছে এত বড় একটা গোল্লা। শূন্য। মানুষ চেয়েছে বলে কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ। মানুষ চেয়েছে বলে কেউ মন্ত্রী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কেউ প্রধান, কেউ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রী। মানুষ যেদিন চাইবে না কোনও নেতার ক্ষমতা নেই টাকা পয়সা ইডি সিবিআই খরচ করে মানুষের টাকা আটকে রাখবে। : অভিষেক
- একবার বুকে হাত রেখে বলুন তো নিজের অধিকার সামনে রেখে ২০১৯ সালে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন? সব ভোট দিয়েছিলেন ধর্ম আর রামমন্দির। ৩ হাজার কোটি খরচ করে রাম মন্দির তো হয়েছে। কিন্তু আপনার বাড়ির ছাদের টাকা আপনি পাননি? কারণ আপনি আপনার অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দেননি। আজ কেন একথা বলছি? গণতন্ত্রে কোনও নেতা শেষ কথা বলে না। : অভিষেক
- আমি এবার আপনাদের অনুরোধ করব আগামিদিন নিজের অধিকার সামনে রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। : অভিষেক
- ২০১৯ সালে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। জেতার পরদিন থেকে কীভাবে বাংলার মানুষকে ভাতে মারা যায় ভাবছে। ২০২১-এও এসব জায়গায় বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন। আপনাদের সমর্থন নিয়ে এরা বিধায়ক, সাংসদ হয়েছেন। আপনাদের সমর্থন নিয়ে আপনাদের ভাতে মারার চেষ্টা করেছে। : অভিষেক
- বিরোধী দলনেতা বলছেন বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ করে রেখেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন, একটা ফোন করবেন টাকা চলে আসবে। বিরোধী দলনেতা বলছেন, একটা টাকাও যাতে না পায়। সব টাকা বন্ধ করে দেব। : অভিষেক
- ২০১৯ সালে বিজেপিকে ভোট দিলেন। জিতেই ভাতা মারার চেষ্টা। ২১ এ বিধায়ক জেতালেন। আপনাদের সমর্থন নিয়ে আপনাদেরই ভাতে মারার চেষ্টা। : অভিষেক
- যখন এসেছি যা চেয়েছি খালি হাতে আমায় ফেরাননি। ধূপগুড়িও জিতিয়েছেন। কথা দিয়ে কথা রেখেছি। : অভিষেক