মশারি-চাদর নিয়ে টিকাকেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন, ‘সকাল সকাল টিকা নিয়ে তবেই ফিরব’

জলপাইগুড়ি: চিকিৎসকরা বলছেন করোনা-সুনামিকে (COVID-19) প্রতিহত করতে টিকাই একমাত্র হাতিয়ার। সকলেই চাইছেন, অন্তত প্রথম ডোজ়টা নিয়ে রাখতে। তবে সেখানে ঘাটতির অভিযোগ উঠছে বারবার। দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা। বদলে কোভিড রোখার প্রতিষেধক নিতে গিয়ে করোনা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। এসবেরই মধ্যেই এক বেনজির ছবি দেখা গেল ময়নাগুড়িতে। মাঝ রাত বা ভোর থেকে ভ্যাকসিনের […]

মশারি-চাদর নিয়ে টিকাকেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন, 'সকাল সকাল টিকা নিয়ে তবেই ফিরব'
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 11:40 PM

জলপাইগুড়ি: চিকিৎসকরা বলছেন করোনা-সুনামিকে (COVID-19) প্রতিহত করতে টিকাই একমাত্র হাতিয়ার। সকলেই চাইছেন, অন্তত প্রথম ডোজ়টা নিয়ে রাখতে। তবে সেখানে ঘাটতির অভিযোগ উঠছে বারবার। দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা। বদলে কোভিড রোখার প্রতিষেধক নিতে গিয়ে করোনা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। এসবেরই মধ্যেই এক বেনজির ছবি দেখা গেল ময়নাগুড়িতে। মাঝ রাত বা ভোর থেকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন গত কয়েকদিনে চেনা ছবি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার বাড়ি থেকে মশারি, চাদর নিয়ে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে রাত কাটাতে চলে এলেন লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা গেল সেই ছবি।

জানা গিয়েছে, টিকা নিতে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার ময়নাগুড়ির এই কেন্দ্রে লাইন দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে লাইন দিচ্ছেন কয়েক শো মানুষ। ফলে অধিকাংশকেই দিনের পর দিন টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। তাই জন্য বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে মশারি, চাদর নিয়ে টিকাপ্রদান কেন্দ্রের সামনে চলে আসেন। টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনেই চাদর পেতে, মশারি টাঙিয়ে বসে পড়েন।

এরকমই একজন সন্তু পাল জানান, “কোভিড থেকে বাঁচার একমাত্র পথ টিকা। অথচ এখানে যা লাইন পড়ে সকালে, তাতে সাধারণ ভাবে টিকা পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব। তাই আমরা রাতেই চলে এসেছি। এখানেই থাকব রাতভর। সকালে টিকা নিয়ে তারপর ফিরব।” সেবক দাস নামে অপর একজন বলেন, “গত দু’ দিন ধরে ঘুরছি, টিকা পাইনি। লাইন যা লম্বা হয় তাতে পাওয়া যায় না। আজ রাতেই চলে এসেছি। তা ছাড়া উপায় তো নেই।”