বাড়িতে খিল দিল পরিবার, করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠাল রেড ভলান্টিয়ার

বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। অথচ করোনা সংক্রমণের ভয়ে বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করেননি পরিবারের কোনও সদস্য। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কারও। অবশেষে এগিয়ে এল রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা।

বাড়িতে খিল দিল পরিবার, করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠাল রেড ভলান্টিয়ার
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 12:28 AM

জলপাইগুড়ি: বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। অথচ করোনা সংক্রমণের ভয়ে বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করেননি পরিবারের কোনও সদস্য। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কারও। অবশেষে রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন। অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর তেষট্টির মণিকা রানি বোসকে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধাকে মৃতা বলে ঘোষণা করেন। এদিকে মহিলার বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে নাকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রেড ভলান্টিয়াররা জানাচ্ছেন, বুধবার সকালে তাঁরা খবর পান যে ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স এসে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাড়ির কেউ তাঁকে নিয়ে বাইরে আসেননি। অ্যাম্বুল্যান্স থেকেও কেউ এগিয়ে আসেননি। অতঃপর এগিয়ে যান রেড ভলান্টিয়ার্সরা। তড়িঘড়ি তাঁদের দুই সদস্য পিপিই কিট পরে পৌঁছন ওই এলাকায়। বৃদ্ধাকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন তাঁরা। এরপর বৃদ্ধাকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

যদিও মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাড়িতে নয় হাসপাতালে নেওয়ার পরেই মারা যান বৃদ্ধার। রেড ভলান্টিয়ারের এক সদস্য নির্মাল্য ভট্টাচার্যের কথায়, “পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক এক বাসিন্দা ফোন করে বলেন যে এক করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে আছে। এরপর আমরা পিপিই পরে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে এনে তাতে তুলে দিই। অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।” তবে স্থানীয় বাসিন্দা বা প্রশাসনের তরফে কেউ ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে আসেননি বলে তাঁদের দাবি।

আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফেলে পালাল মেয়ে! পথেই রাত কাটছে মায়ের 

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুরজিৎ ঘোষ বলেন, “সকাল সাড়ে নটা নাগাদ আমার কাছে ফোন আসে। আমি সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের পাঠিয়ে দেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু আগেই মারা গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সরকারিভাবে যে সমস্ত নিয়ম রয়েছে সেই সমস্ত নিয়ম পালন করে মৃতদেহ সৎকারের জন্য মালবাজার পাঠানো হয়।”