‘লাইনে কেন দাঁড়াবেন, আসুন…’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিক্রি করতে গিয়ে ধৃত যুবক
Lakshmir Bhandar: এর আগে রাজগঞ্জেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
জলপাইগুড়ি: এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করার জন্য টাকা চেয়ে শিলিগুড়িতে এক ব্যক্তিকে ধরেছিল পুলিশ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল জলপাইগুড়িতে। টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি করে ফের শ্রীঘরে গেলেন এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
এর আগে রাজগঞ্জেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এদিন দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আবেদনপত্র নিতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া অঞ্চলে সকাল থেকেই ব্যাপক ভিড় ছিল। অভিযোগ, সেখানে রঞ্জন হাজরা নামে ওই যুবক টাকার বিনিময়ে ফর্ম দেয়। লাইন এড়িয়ে তার কাছ থেকে ফর্ম নিয়ে যেতে বলে সে। কয়েকজনের চোখে পড়ে বিষয়টি। তারা খবর পাঠায় পুলিশে। এরপর অভিযোগ পেয়ে ক্যাম্পে থাকা পুলিশ ছুটে আসে। যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এই গ্রেফতারির ঘটনায় ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রঞ্জন হাজরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় টাকার বিনিময় আবেদনপত্র দেওয়ার হিড়িক পড়ে। বেশ কিছিু জায়গায় অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ মানুষের কাছে টাকার বিনিময় প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। এই ফর্ম নিয়ে দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপও করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্জি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দুয়ারে সরকার শিবির থেকে যেন সবাই ফর্ম নেন। অন্য কারও থেকে ফর্ম নেবেন না।
পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম কেউ যাতে নকল না করতে পারে, সেজন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেউ যদি কোনও সমস্যায় পড়েন, সেক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে রাজ্য। সেই হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১০৭০-২২১৪৩৫২৬।
কোনওভাবেই যাতে উপভোক্তারা প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য প্রত্যেকটি ফর্মের উপর ‘কম্পিউটার জেনারেটেড ইউনিক নম্বর’ দেওয়া থাকছে। আবার ফর্ম প্রতি সেই ইউনিক নম্বর সংরক্ষিত থাকবে সরকারি আধিকারিকদের কাছেও। যাতে আধিকারিকরা আবেদনপত্র আসার সঙ্গে সঙ্গে তা মিলিয়ে নিতে পারেন। সে কারণে কেউ যদি অন্য কোনও জায়গা থেকে ফর্ম পূরণ করেন, তাহলে তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না বলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: মোবাইল বন্ধ, নেট বিচ্ছিন্ন! ওরা বেঁচে আছে তো? ওষুধ না খেলে ঘুম আসছে না কাদের খানদের