Rain in North Bengal: রাতভর বৃষ্টি, জলে ভাসছে ধূপগুড়ি; আজও ভারী বৃষ্টি উত্তরের জেলায় জেলায়
Weather: ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও।
জলপাইগুড়ি: টানা রাতভর বৃষ্টি। জলের তলায় ধূপগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে একাধিক নদীতে। ফালাকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কেও জল জমেছে। জলে থই থই ধূপগুড়ি শহরের একাধিক ওয়ার্ডও। আংরাভাসা নদী যেভাবে ফেঁপে উঠেছে, তা গয়েরকাটার জলযন্ত্রণা তুঙ্গে। সোমবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে। ভুটান পাহাড়ের জল বানারহাটের হাতিনালা দিয়ে আংরাভাসা নদীতে পড়ছে। বিরামহীন বৃষ্টিই আংরাভাসাকে টইটম্বুর করে তুলেছে। নদীর জল ঢুকে এদিন গয়েরকাটার জ্যোতির্ময়পল্লি, বিবেকানন্দপল্লি, হিন্দুপাড়া, কোঙারনগর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জনজীবনও বিপর্যস্ত। সোমবার রাতেই বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে।
ধূপগুড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আদিত্য ঘোষ বলেন, “রাত থেকে বৃষ্টি। ভোর চারটে থেকে প্রবল বর্ষণ। ধূপগুড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। ১৬টা ওয়ার্ডেই প্রায় জল জমে গিয়েছে। ধূপগুড়ি ফালাকাটা রোডে পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। মনে হবে যেন ডোবা। বোঝাই যাচ্ছে দুর্ভোগ আছে কপালে। দোকানদারি করাই সমস্যা হয়ে যাবে।” সকাল থেকে ছাতা মাথায় দিয়ে জল ঠেলে এসে দোকানে পৌঁছেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে বিক্রিবাটা কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তাঁদের মনে। এই হাঁটুজল ঠেলে কতজনই বা বেরোতে পারবেন তা নিয়েও দ্বিধা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিকাশ দাসের অভিযোগ, “ড্রেন পরিষ্কার হয় না কোনওদিন। ফলে একটু বৃষ্টি হলেও জল জমে যায়। সেখানে টানা বৃষ্টি। জল নামবে কী করে?”
অন্যদিকে রাত থেকে বৃষ্টি জলপাইগুড়িতেও। মুষলধারায় না হলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শহরের দু’ একটি নিচু এলাকা ছাড়া তেমনভাবে জল জমার সমস্যা নেই কোথাও। অন্যদিকে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১২৬৪.০৭ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তবে নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারেও।
ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও। ৩০ জুন থেকে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি সামান্য কমবে বলে জানা যাচ্ছে। মোটের উপর আগামী চারদিন উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ৩০ জুন অবধিই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।