Suicide:মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রের, অবসাদেই আত্মহত্যা না অন্য কিছু, দাঁনা বাঁধছে রহস্য
Suicide: মৃতের নাম রাজেশ দাস। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়র।
জলপাইগুড়ি: সোমবার ভরদুপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রায়গঞ্জ। স্বভাবতই সপ্তাহের প্রথমদিন স্টেশন চত্ত্বর জনবহুল থাকে, এদিনও তার অন্যথা হয়নি। রবিবার ছুটি কাটিয়ে সোমবার দিন থাকে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছিস গোটা স্টেশন চত্ত্বর। সকাল থেকেই ট্রেনগুলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার দুপুরে রাজগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত বেলাকোবা রেল স্টেশনে ট্রেনে চড়ার স্টেশনেই অপেক্ষা করছিল বেশ কিছু যাত্রী। এদিকে হুইসেল বাজিয়ে স্টেশনে তথন ঢুকছে একটি মালগাড়ি। এর মধ্যেই কিছু বুঝে ওঠার যাত্রীদের চোখের নিমেষে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
স্টেশন থেকে খানিক দূরে হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে ঝাঁপ দেন মালগাড়ির সামনে। নিমেষে ট্রেনের ধাক্কায় তার দেহ কেটে দুভাগ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষারত যাত্রীরা ছুটে যান। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছায় রেল পুলিশও। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। ততক্ষণে ওই ব্যক্তির দেহ কার্যত একদলা মাংস পিন্ডে পরিণত হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্যে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। ঘটনার কথা চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা স্টেশন চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজেশ দাস। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়র। ঘটনায় স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন রাজেশ বাবুর বাড়ি তার পাড়াতেই। তার কথায় ,”রাজেশ অনেকদিন ধরেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। চিকিৎসাও করাতেন। ওষুধও খেতেন। তিনি যে এভাবে আত্মহত্যা করবেন ভাবে পারিনি। উনি পূর্ত দফতরে ইঞ্জিনিয়র পদে কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।” যদিও তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ অবসাদ কিনা তা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। আসে রেল পুলিশও। ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।