Jalpaiguri: ‘অন্ধ’ রাস্তায় একের পর দুর্ঘটনা, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
Jalpaiguri: পথ অবরোধের জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজটও সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে কোতোয়ালি এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় লাইট লাগানোর দাবিতে ফুঁসতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ি: একের পর এক দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তুমুল উত্তেজনা এলাকায়। জলপাইগুড়ি দশদরগা এলাকায় পথ দুর্ঘটনা যেন থামার নাম নিচ্ছে না। সূত্রের খবর, গত একমাসের বেশি সময় ধরে প্রায় প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনা হচ্ছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন। বহু মানুষ আহতও হয়েছেন। বুধবার এই এলাকাতেই দু’টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালের পর রাতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাতের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে পথ অবরোধের জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজটও সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে কোতোয়ালি এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় লাইট লাগানোর দাবিতে ফুঁসতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা। এদিনের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সৌরভ সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি অভিমুখে একটা বাইকটি এবং একটা চারচাকা যাচ্ছিল। দশদরগা মোড়ে লাইট না থাকায় অন্ধকারে ভাল করে দেখতে না পাওয়ায় চারচাকাটি বাইকে ধাক্কা মারে। এখানে লাগাতার দুর্ঘটনা হচ্ছে। তাই আমরা পথ অবরোধ করেছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল রায় বলেন, “রোজ হচ্ছে। থামছেই না। লাগাতার পথ দুর্ঘটনা হয়েই যাচ্ছে আমাদের এখানে। বাধ্য হয়েই আমরা প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটছি। সে কারণেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আমাদের দাবি এখানে লাইট লাগাতে হবে।” প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে পথ অবরোধ। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে লাইট লাগানোর আশ্বাস পেয়ে পথ অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।