Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP Leader: অভিষেককে কালো পতাকা দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় গ্রেফতার তিন বিজেপি নেতা, পরে মুক্ত

মাল ব্লকের বিজেপির প্রাক্তন টাউন মণ্ডল প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ তিওয়ারি, সুমিত রাহা এবং কৌশিক সরকারকে রবিবার পুলিশ আটক করেছিল বলে অভিযোগ।

BJP Leader: অভিষেককে কালো পতাকা দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় গ্রেফতার তিন বিজেপি নেতা, পরে মুক্ত
ক্রান্তি ফাঁড়িতে আটক বিজেপি নেতারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 8:38 PM

জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবে প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল যথেষ্ট। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিয়ে তৎপর ছিল পুলিশ। তা করতে গিয়েই জলপাইগুড়িগামী নেতাদের গ্রেফতার করে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কালো পতাকা দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় ওই নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, অভিষেককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না তাঁদের। দলের অসুস্থ সাংসদকে দেখতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ অমূলক দাবি করে জোর করে তাঁদের ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং হেনস্থা করে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে ওই বিজেপি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। গোটাটাই প্রশাসনের ব্যাপার।

মাল ব্লকের বিজেপির প্রাক্তন টাউন মণ্ডল প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ তিওয়ারি, সুমিত রাহা এবং কৌশিক সরকারকে রবিবার  পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বলে অভিযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখাতে পারেন এই সন্দেহে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। আটক করে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যায় ক্রান্তি ফাঁড়িতে। ফাঁড়িতে আটক থাকার সময় পঙ্কজ তিওয়ারি এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে দেখতেই জলপাইগুড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে পুলিশ তাঁদেরকে ক্রান্তি ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে বলে অভিযোগ তাঁর। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পাওয়ার পর পঙ্কজ তিওয়ারি বলেছেন, “কালো পতাকা দেখানোর কোনও পরিকল্পনাই আমাদের ছিল না। আমরা জলপাইগুড়ির সাংসদকে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছিলাম। আমাদের ফাঁড়িতে জোর করে আটকে রাখল। হেনস্থা করল।”

পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ দেখে। পুলিশ নিশ্চয় কিছু বুঝেছিল। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটা গোটাটাই প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপার।”