Jalpaiguri : রাগী দিদিমণির কাণ্ড, পড়া না পারায় ৪ বছরের শিশুকে মেরে হাঁটু ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

Jalpaiguri : ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। প্রতিবেশী গৃহ-শিক্ষিকার কাছে নিজের ৪ বছরের শিশুকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন মা। পড়া শেষে ফিরে আসতেই দেখতে পান ছেলের পায়ে ব্যথা।

Jalpaiguri : রাগী দিদিমণির কাণ্ড, পড়া না পারায় ৪ বছরের শিশুকে মেরে হাঁটু ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 8:09 PM

জলপাইগুড়ি: স্কুলে পড়ুয়াদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে আঘাত করা কোনওভাবেই যাবে না। রয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। যদিও তারপরেও সাম্প্রতিককালে বারবার পড়ুয়াদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একাধিক গৃহ শিক্ষক (Private Tutor) থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এবার রাগী দিদিমণির মারে পা ভাঙল চার বছরের শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের ভগৎ সিং কলোনি এলাকায়। বানান ভুল করায় গৃহ-শিক্ষিকার লাঠির আঘাতে পা ভেঙে যায় খুদে পড়ুয়ার। শিশুটির পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গৃহ-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। প্রতিবেশী গৃহ-শিক্ষিকার কাছে নিজের ৪ বছরের শিশুকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন মা। পড়া শেষে ফিরে আসতেই দেখতে পান ছেলের পায়ে ব্যথা। ছেলেকে ব্যথার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই মা জানতে পারেন বানান ভুল করায় দিদিমণি লাঠি দিয়ে মেরেছেন। 

শনিবার শিশুটিকে হাসপাতলে নিয়ে গেলে এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায় শিশুটির হাঁটু ভেঙে গিয়েছে। এরপরেই থানার দ্বারস্থ হয় শিশুটির পরিবার। অন্যদিকে শিশুটির পরিবার যখন দিদিমনির কাছে জানতে চান কেন মারধর করা হয়েছে সেই সময় দিদিমণি স্বীকার করে নেন লাঠি দিয়ে তিনি মেরেছেন। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচই করেনি টিভি-৯ বাংলা। ঘটনা প্রসঙ্গে শিশুটির মা রেণু যাদব বলেন, “আমাদের বাড়ির পাশেই ওই শিক্ষিকার বাড়ি। আমি বাচ্চাকে কালকে ওনার কাছে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। আমরা তো ভাবতেই পারিনি ওকে এভাবে মারবে। বাড়ি এসে বাচ্চাটা ঘটনার কথা জানায়। পা তুলতেও পারছিল না। পড়া পারেনি বলে মেরেছি। আগেও মারধর করেছে। তবে এতটা বাড়াবাড়ি হয়নি। আমরা পুলিশকেও ঘটনার কথা জানিয়েছি।” 

পাহাড়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অমিতা মিত্র বলেন, “ রেণু যাদবের প্রতিবেশী পম্পা দাসের কাছে বাচ্চাটা পড়তে গিয়েছিল বলে শুনেছি। পড়া না মারায় দিদিমণি মেরেছেন। মারটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে। পায়ে চোট পেয়েছে। পা ভেঙে গিয়েছে।আমি ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাচ্চাটিকে দেখেও এসেছি। বলেছি যদি বাচ্চাটির মা-বাবা চায় তো অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক নিজেই বাচ্চাটির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবেন। তবে ওরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”