Jalpaiguri: ১০০ টাকা কমে বিকোচ্ছে মুরগির মাংস, উপচে পড়ছে ভিড়! ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানি
Jalpaiguri:মাত্র ১৩০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে মুরগির মাংস। মাথায় হাত অন্যান্য ব্যবসায়ীদের।
জলপাইগুড়ি: কিলো প্রতি মুরগির মাংসের দাম (Chiken Price) যেখানে ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ টাকা কম দামে। শুনতে অবাক লাগলেও ‘মিনিমাম প্রফিট ম্যাক্সিমাম সেল’ থিয়োরিকে কাজে লাগিয়ে বড় লাভের মুখ দেখতে চাইছেল জলপাইগুড়ির এক মাংস বিক্রিতা। যার জেরে প্রতি কিলো মাংস বিক্রি করলেন ১৩০ টাকা। এদিকে রবিবারের বাজারে এত কম দামে মাংস বিক্রির খবর পেতেই রীতিমতো ভিড় লেগে গেল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ৭৩ মোড় এলাকায়। মাংস কিনতে আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসে বহু মানুষ। সুদূর ১৫ কিলোমিটার দূরের পাহাড়পুর থেকেও ছুটে আসেন ক্রেতারা।
এদিকে এত কম দামে মাংস বিক্রি হওয়ায় চাপে পড়েছেন এলাকার অন্যান্যা বিক্রিতেরা। তাঁরা মাংসের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে তিয়াসা সাহা নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, “এখন আমাদের এই ব্যবসা করে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে গেল।” যদি যে বিক্রেতা ১৩০ টাকা কিলো দরে মাংস বিক্রি করছেন সেই অনু মহম্মদ বলেন, “কিলো প্রতি ৭-৮ শতাংশ লাভ রেখেই ব্যবসা করছি। রবিবারে আমাদের প্রায় ৬ ক্যুইন্টল অবধি মাংসা বিক্রি হচ্ছে। আমরা হোম ডেলিভারিও করছি। আমাদের মাংসের কোয়ালিটি ক্রেতারা দেখে তারপরই কিনছেন। তাঁদের সামনেই কেটে বিক্রি হচ্ছে।”
এদিকে কম দামে মাংস কিনতে সকাল থেকেই বড় লাইন পড়ে যায় দোকানের সামনে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়় দোকানের কর্মচারীদের। এদিকে কম দামে মাংস পেয়ে স্বভাবতই খুশি ক্রেতারা। লাইনে দাঁড়িয়েই কেশব বিশ্বাস নামে এক ক্রেতা বলেন, “লাইন দিয়ে চাল কিনেছি, কিন্তু লাইন দিয়ে মুরগির মাংস এই প্রথম কিনছি। আগের সপ্তাহে ১৪০ টাকা ছিল। এ সপ্তাহে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।” আর এক ক্রেতা বাবুল দাস বলেন, “এ দোকানের মালিক আসলে এলাকার হোল সেলার। সেই কারণেই কমদামে দিতে পারছে। প্রায় ২-৩ মাস ধরে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। মাংসের গুণমানও বেশ ভাল।”