BJP Leader Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানের কোনও পাট্টা হয় না’, রাজ্যের পদক্ষেপকে ভাঁওতা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: এ দিন, জলপাইগুড়ির চালসায় জনসভা ছিল শুভেন্দুর। সেখান থেকে তিনি বলেন, "চা বাগানের কোনও পাট্টা হয় না। চা বাগানের জমি কেন্দ্রের। রাজ্যের নয়। রাজ্য সরকারের এখানে কোনও ভূমিকা নেই। আপনারা বিএলআরও অফিসে গেলে এই বিষয়ে সব জানতে পারবেন। তৃণমূল মিথ্যে কথা বলছে।"
জলপাইগুড়ি: গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতা ফিরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকাকালীন তিনি চা শ্রমিকদের উন্নয়নে পাট্টা দান, উদ্বাস্তুদের জন্য ঘর নির্মাণ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। শনিবার জলপাইগুড়ি থেকে পাল্টা রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, চা বাগানের মালিক আসলে শ্রমিকরাই। তাঁদের পাট্টা দেওয়ার কথা বলে আসলে এই সরকার ভাঁওতা দিচ্ছেন বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা।
এ দিন, জলপাইগুড়ির চালসায় জনসভা ছিল শুভেন্দুর। সেখান থেকে তিনি বলেন, “চা বাগানের কোনও পাট্টা হয় না। চা বাগানের জমি কেন্দ্রের। রাজ্যের নয়। রাজ্য সরকারের এখানে কোনও ভূমিকা নেই। আপনারা বিএলআরও অফিসে গেলে এই বিষয়ে সব জানতে পারবেন। তৃণমূল মিথ্যে কথা বলছে।”
রাজ্য সরকারের উন্নয়নশীল প্রকল্পে চা শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন। সেই কারণে প্রলাপ বকছেন বিরোধী দলনেতা। এমনই তোপ দাগলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “চা সুন্দরী প্রকল্প থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল প্রকল্প মানুষ দারুণভাবে সাড়া দিচ্ছেন। উপকৃত হচ্ছেন। সেই কারণে শুভেন্দুদের জ্বলন হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে গিয়ে আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৩ হাজার শ্রমিককে পাট্টা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে শুধু আলিপুরদুয়ারেই ৪ হাজার ৬৪২ জন চা শ্রমিককে পাট্টা দেওয়ার ঘোষণা করেন মমতা। বাকি জায়গায় দ্রুত সম্ভব পাট্টার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এ দিন, মমতার সেই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।