Bangladesh News: ‘বর্ডারে দাঁড়িয়ে ওরা বলছে, ‘BSF-এর গুলি খেয়ে মরব, তাও ভাল…’, সীমান্তে অপেক্ষায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি, রাতের অন্ধকারেও চলছে অপেক্ষা

Bangladesh Infiltration: বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ সীমান্ত আছে। বেশ কিছুটা অংশ, বিশেষত নদীর অংশে নেই কোনও কাঁটাতার। সেই অঞ্চলগুলো দিয়ে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে।

Bangladesh News: 'বর্ডারে দাঁড়িয়ে ওরা বলছে, 'BSF-এর গুলি খেয়ে মরব, তাও ভাল...', সীমান্তে অপেক্ষায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি, রাতের অন্ধকারেও চলছে অপেক্ষা
বুধবার দুপুরের ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2024 | 10:31 PM

জলপাইগুড়ি: ওপার বাংলার অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিরা যে ভারতে আসার চেষ্টা করবেন, এমন সম্ভাবনার কথা আগেই সামনে এসেছে। বিশেষত কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হবে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন কেউ কেউ। এবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর দু’দিন কাটতে না কাটতেই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে দেখা গেল কয়েক হাজার বাংলাদেশির ভিড়।

উপরের ছবিটি জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জের সাতকুড়ার। বুধবার দুপুর থেকে ওই এলাকার সীমান্তে দেখা গেল এই ছবি। কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষা করছেন, যদি তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ওই অংশে কাঁটাতার নেই বলেই জানা গিয়েছে। কেউ বৃদ্ধ মা, কেউ কোলের সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেখানে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিএসএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও, আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসছেন।

মানিকগঞ্জের মানুষজন সীমান্তে অপেক্ষারত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজন বলছেন, ‘অত্যাচারের জন্য পালিয়ে এসেছি। বিএসএফের গুলি খেয়ে মরব তাও ভাল, তবু বাংলাদেশে থাকব না।’ তাঁদের একটাই বক্তব্য, ‘যে কোনও মূল্যে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক।’

পরিস্থিতি এমন থাকলে বিএসএফ কী পদক্ষেপ করবে, কীভাবে আটকাবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন আর কে দাস বলেন, “সীমান্ত পার না করলে বিএসএফ কিছু করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি এমন থাকলে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাতেও যদি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলতে থাকে, তাহলে ফায়ারিং করতে বাধ্য হবে বিএসএফ।”