মাঝরাতে ভয়ঙ্কর শব্দে ভাঙল দেওয়াল, ছিঁড়ল তার! বজ্রবিপদ ধূপগুড়িতে

Thunderstorm: জগদীশবাবুর পুত্রবধূ রীতাদেবীর কথায়, "আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ এমন আওয়াজ হল মনে হল বোমা পড়ল যেন! এত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে বুঝতে পারিনি বাজ পড়েছে।"

মাঝরাতে ভয়ঙ্কর শব্দে ভাঙল দেওয়াল, ছিঁড়ল তার! বজ্রবিপদ ধূপগুড়িতে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2021 | 2:33 PM

জলপাইগুড়ি: গভীর রাতে ঘুমে অচেতন সকলে। আচমকা, ভয়ঙ্কর কড়কড় শব্দে ছুটল ঘুম! শুক্রবার মাঝরাতে ধূপগুড়ির পূর্ব শালবাড়ি গ্রামে বজ্রাঘাতের (Thunderstorm) জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেন এলাকাবাসী। বজ্রাঘাতে, জগদীশ সরকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বাজ পড়ায় ধসে পড়ল বাড়ির দেওয়াল থাম। ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন জগদীশের পরিবার।

জগদীশ সরকার নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মাঝরাতে আচমকা ভয়ঙ্কর শব্দ হয়। সেই শব্দেই ঘুম ভেঙে যায় সকলের। জগদীশ ছাড়াও তাঁর প্রতিবেশীরা বাড়ির বাইরে এসে দেখেন, বজ্রাঘাতে বাড়ির খুঁটি উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে রাস্তায়। ভেঙেছে ঘরের মিটার বক্স। শুধু জগদীশের বাড়িতেই নয়, আশেপাশের অনেকগুলি বাড়িতেই উড়ে  গিয়েছে ঘরের চাল, কোথাও বা ফাটল ধরেছে দেওয়ালে। কোথাও ভেঙে পড়েছে সিমেন্টের চাঁই। রাতে, বাজ পড়ার আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে বাকি রাতটুকু দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি কেউ।

thunderstorm

ভেঙেছে মিটার বক্স, নিজস্ব চিত্র

জগদীশবাবুর পুত্রবধূ রীতাদেবীর কথায়, “আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ এমন আওয়াজ হল মনে হল বোমা পড়ল যেন! এত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে বুঝতে পারিনি বাজ পড়েছে। ঘরের দরজা-জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। দেওয়াল ধসে পড়েছে। শুধু আমাদের বাড়িতে নয়, আশেপাশের কয়েকটা বাড়িতেও একই অবস্থা। এমন ভয়ঙ্কর আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি।”

উল্লেখ্য, বঙ্গে বজ্র-বিপত্তি ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক মৃত্য়ু ঘটেছে বজ্রাঘাতে (Thunderstorm)। এই মুহূর্তে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা বত্রিশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘন ঘন মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পরিবেশবিদরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত দূষণই এই এত বজ্রপাতের কারণ। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাজের এই উৎপত্তি।

সমীক্ষা বলছে, ২০১৯-২০২০-র মধ্যে একবছরের ব্যবধানে বাংলায় বাজের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। মৌসম ভবন (IMD) সূত্রে খবর, সোমবার কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতের মধ্যে প্রায় ৬১ হাজার বাজের উৎপত্তি হয়েছে। তারমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার বাজ নেমে এসেছে মাটিতে। বাকিগুলি মিলিয়ে গিয়েছে আকাশেই। বজ্রবিপদ থেকে বাঁচতে গাছ লাগানোর পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সরল বিশ্বাসে প্রতিবেশী ‘দাদাদের’ টোটোয় উঠেছিল কিশোরী, তার পরিণতি এমন!