Pradhan Mantri Awas Yojona : ‘অনেকের পাকি বাড়ি আছে’, নিজের বাড়িতে আবাসের সার্ভেতে বাধা তৃণমূল নেতার
Pradhan Mantri Awas Yojona : আবাস যোজনার সার্ভেতে সরকারি আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি: আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojona) রিভেরিফিকেশনে বাধা তৃণমূল নেতার। ফিরে গেলেন বিডিও অফিসের আধিকারিকেরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি (Jalapiguri) পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জমিদার পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে সোমানে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু টিম গঠন করে রিভেরিফিকেশনের কাজ শুরু করেন জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে আধিকারিকেরা। এদিন বিকেলে তারা যান তারা চলে আসেন পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েতের জমিদার পাড়া এলাকায়। সেখানে রিভেরিফিকেশনের কাজ শুরু করেন।
এরপর তাঁরা যান পাহাড়পুর অঞ্চলের জমিদার পাড়া বুথের তৃণমূল বুথ সভাপতি শ্রীহরি মাতব্বরের বাড়িতে। এনার পাকা বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে সার্ভের কাজে গেলে আধিকারিকদের আটকে দেন খোদ শ্রীহরি মাতব্বর। বাধা দেন তাঁর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও। তাঁদের দাবি আরও অনেকের পাকা বাড়ি আছে। আগে তাদের ভেরিফিকেশন করতে হবে। তারপর তাঁদের বাড়ির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পারেন আধিকারিকরা।
বাধা পেয়ে গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে ফিরে আসেন জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব প্রামানিক ও তাঁর টিম। ঘটনা প্রসঙ্গে, সঞ্জীব প্রামানিক বলেন, “আমরা রিভেরিফিকেশন করছিলাম। এখানে বাধা পেলাম। ফিরে যাচ্ছি। বিডিওকে রিপোর্ট দেব।” ঘটনায় জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন “আমাকে বিডিও এখোনও রিপোর্ট দেয়নি। তবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। সরকারি কাজে বাধা দিলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এই এলাকাতেই এদিন রিভেরিফিকেশন করতে গিয়ে সরকারি আধিকারিকরা বাধা পাওয়ায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।