Unknown Fever: পিছু ছাড়ছে না জ্বরাতঙ্ক, হাসপাতালের একই বেডে গাদাগাদি করে শুয়ে আক্রান্ত শিশুরা!
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১জন। মঙ্গলবার সকালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০।
জলপাইগুড়ি: পিছু ছাড়ছে না জ্বরাতঙ্ক (Unknown Fever)। প্রায় শতাধিক শিশু একযোগে ভর্তি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। শিশু বিভাগে গাদাগাদি করে চলছে চিকিত্সা। হাসপাতালের আউটডোর ও ইন্ডোর বিভাগে উপচে পড়েছে আক্রান্তদের ভিড়। সঙ্গে রয়েছেন শিশুদের অভিভাবকরাও। ইতিমধ্য়েই বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও।
ইতিমধ্যেই, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১জন। মঙ্গলবার সকালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, কেবল সদর হাসপাতালেই রোগীর চাপ বেড়েছে এমন নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিরও প্রায় একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে অনেক হাসপাতাল থেকেই রোগীকে রেফার করা হচ্ছে সদর হাসপাতালে। ফলে বাড়ছে চাপ।
এদিন দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু বিভাগের একটি বেডে একসঙ্গে ৩জন শিশুর চিকিত্সা চলছে। জ্বরে প্রায় বেহুঁশ হতে বসা শিশুদের এইভাবেই চলছে চিকিত্সা। শয্যা-সঙ্কটে ভুক্তোভোগী এক শিশুর মায়ের কথায়, “বেড নেই। ডাক্তারবাবুরা বলছেন বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে চলে যেতে। একটা বেডের মধ্য়ে ৩-৪ জনের চিকিত্সা চলছে। সব বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি-কাশি। কিছুজনের শ্বাসকষ্ট। আমার ছেলেটার জ্বর ছিল। আজ সুস্থ হওয়ায় বাচ্চাটাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছি।”
ক্রমে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৪০ টি বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছিল নির্মীয়মান পিকু ওয়ার্ডে নতুন করে ৩ নম্বর পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড চালু করা হবে। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট সেই ওয়ার্ড ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ১০ টি শয্যা সহকারে ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড দুটি বৃদ্ধি করা হবে। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু বিভাগ চালু করা হবে। বাকি ১০ টি বেড ১ ও ২ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু, মঙ্গলবার দেখা যায়, নতুন ওয়ার্ডটি চালুই হয়নি। সেখানে দরজায় ঝুলছে তালা। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ওয়ার্ডটি জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।
জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আচমকাই জ্বরের ঢেউ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েছে। আজ ১৪০ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। শয্য়া বাড়াবার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আশা করছি আর এমন সমস্য়ায় রোগীদের পড়তে হবে না।”
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অজানা জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর তৎপর। জেলায় জেলায় শিশুদের আইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুর বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এক ধাক্কায় সেই সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯ করা হয়। সে সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি হয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এ ছাড়া এসএসকেএম, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে নিউবর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকুর বেডের সংখ্যাও। এত দিন পর্যন্ত রাজ্যের ২১ টি হাসপাতালে পিকুর সংখ্যা ছিল ২৪৪ টি। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সেখানে আরও ২৪৪টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কোনও ভাবেই শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে আপোষ করতে নারাজ রাজ্য। এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম, নেগেটিভ প্রেশার ভেন্টিলেশন ও কিছু মেরামতির কাজের জন্য টাকা দেওয়া হবে হাসপাতালগুলিকে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধীনে কয়েকটি হাসপাতাল রাখা হয়। এই সব হাসাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে ওই হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়ুন: Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!
আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: জল্পনায় জল, শুভেন্দুর সঙ্গে কর্মিসভায় জিতেন্দ্র, নির্বাচনে লড়তে চ্যালেঞ্জ বাবুলকে