Flood Situation in North Bengal: জলস্তর কমছে তিস্তায়, উঠল লাল সতর্কতা, স্বস্তি নদীর দুই পারে
Flood Situation in North Bengal: গত ২৪ ঘণ্টায় তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলস্তর তেমন বাড়েনি। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমতে থাকে।
জলপাইগুড়ি: সিকিম পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে গত দুদিন ধরে লাল সতর্কতা জারি ছিল তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায়। গতকাল সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৬০০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছিল। যা চলতি মরশুমে সবথেকে বেশি। এরফলে আরও জল বেড়ে যায় তিস্তা নদীতে। ফলে সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছিল হলুদ সতর্কতা। শনিবার সকাল ৬ টায় আবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩৩০০ কিউমেক জল ছাড়া হয়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলস্তর তেমন বাড়েনি। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জল ছাড়ার পরিমাণ কমতে থাকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ –
১) জলপাইগুড়ি – ০৮.১০ মিলিমিটার
২) আলিপুরদুয়ার – ০৪.২০ মিলিমিটার
৩) কোচবিহার – ০৯.৮০ মিলিমিটার
৪) শিলিগুড়ি – ১৯.০০ মিলিমিটার
৫) মাল – ৭২.৬৮ মিলিমিটার
৬) হাসিমারা – ০২.২০ মিলিমিটার
৭) বানারহাট – ১৩.০০ মিলিমিটার
৮) ময়নাগুড়ি – ৫৭.০০ মিলিমিটার
৯) মাথাভাঙা – ৬৭.৮০ মিলিমিটার
১০) তুফান গঞ্জ – ১২.২০ মিলিমিটার
শনিবার দুপুর ২ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ২১৬০.৭৫ কিউমেক। এরপর বেলা ৩ টায় জল ছাড়া হয়েছে ১৭২২.৬৫ কিউমেক। জলস্তর অনেকটা নেমে যাওয়ায় বেলা ৩.২০ মিনিটে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা তুলে নিয়ে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এমনটাই খবর সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে। অপরদিকে শনিবার ভোরে করলা নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় জলমগ্ন পরেশ মিত্র কলোনি সহ অন্যান্য এলাকা থেকে জল নেমে গিয়েছে। ফ্লাড শেল্টার হোম ছেড়ে ঘরে ফিরে গিয়েছে অনেক পরিবার।