Dhupguri Girls College: ধূপগুড়ি কলেজে ভিডিয়ো শ্যুট ভোটকুশলী সংস্থার, উপনির্বাচনের আবহে সরব বিরোধীরা
ধূপগুড়ি কলেজের ছাত্রীদের দিয়ে ভিডিয়ো বানিয়ে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ ঘিরে শনিবার সরগরম ধূপগুড়ির রাজনীতি।
ধূপগুড়ি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে তর্ক বিতর্ক কম হচ্ছে না। এই আবহেই জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে ঢুকে ভিডিয়ো বানানোর অভিযোগ উঠল ভোটকুশলী সংস্থার বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ি কলেজের ছাত্রীদের দিয়ে ভিডিয়ো বানিয়ে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ ঘিরে শনিবার সরগরম ধূপগুড়ির রাজনীতি। সিপিএম এবং বিজেপি দুই দলই কলেজের ভিতর নির্বাচনী ভিডিয়ো শ্যুট নিয়ে সরব হয়েছে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগও তুলেছে বিরোধীরা। কার অনুমতিতে ভোটকুশলী সংস্থার লোকেরা কলেজের ভিতরে ভিডিয়ো তুললেন সে প্রশ্নও উঠেছে। কলেজের অধ্যক্ষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কী করছে? প্রশাসন কী করছে। কলেজের ভিতর বাইরের বাহিনী ভিডিয়ো করছে। কার অনুমতিতে হয়েছে?” এ বিষয়ে ধূপগুড়ির বিজেপি কনভেনার চন্দন দত্ত বলেছেন, “ধূপগুড়ি কলেজে এসে বাইরের সংস্থা ভিডিয়ো তুলেছে। কে অনুমতি দিল? উপনির্বাচন চলছে। কী ভাবে ঢুকল। তা সব নির্বাচন কমিশনকে জানাব।”
চাপের মুখে পড়ে ধূপগুড়ি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় দেবনাথ বলেছেন, “আমি কলেজ যাইনি। আমিও শুনলাম কলেজে এ রকম হয়েছে। ভোটকুশলী সংস্থার লোক কেউ হয়ত বোঝেনি। হয়ত মিডিয়া ভেবেছে। আমি জানলে সে রকম ব্যবস্থা নিতাম।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এ বিষয়ে বলেছেন, “এটা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি। এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের দেখায় বিষয়। ফালতু বিষয়ে না বলে মানুষের উন্নয়নে নজর দেওয়া উচিত বিরোধীদের।”