Film Release: সোনা পাচারের বড়সড় পর্দাফাঁসে নামলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে, সঙ্গী ‘গোয়েন্দা ঋজু’

Film Release: ছবির প্রযোজক মহুয়া চক্রবর্তী জানান, এই ছবির গল্প তিনি তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের কাছ থেকে শুনেছিলেন।

Film Release: সোনা পাচারের বড়সড় পর্দাফাঁসে নামলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে, সঙ্গী 'গোয়েন্দা ঋজু'
সাংবাদিক সম্মেলনে কুশলীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2023 | 10:48 AM

জলপাইগুড়ি: ইচ্ছেশক্তিতে ভর করে আস্ত একটা ফিচার ফিল্ম বানিয়ে ফেললেন জলপাইগুড়ি শহরের মহুয়া চক্রবর্তী। জলপাইগুড়ির মেয়ে শিলিগুড়িতে বিয়ে হয়। শ্বশুরমশাইয়ের মুখে শোনা গল্পতেই প্লট সাজিয়ে তৈরি করছেন ‘গোয়েন্দা ঋজু’ নামে ওই ছবি। সোনা পাচারের পর্দা ফাঁস করবে এই ছবির গল্প। ব্যোমকেশ বক্সী, ফেলুদার মতো বাঙালির অতি পরিচিত গোয়েন্দার তালিকায় এবার যুক্ত হল ‘গোয়েন্দা ঋজু’। উত্তরবঙ্গেই বাড়ি এই গোয়েন্দার, বয়সে নবীন। কিন্তু তাঁর সুতীক্ষ্ণ নজর, বুদ্ধিমত্তা কোনও অংশেই কম নয়। জলপাইগুড়ির মহুয়া চক্রবর্তী গৃহবধূ। তাঁরই ভাবনায় তৈরি এই ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। মহুয়া এ ছবির পরিচালক, প্রযোজকও তিনি। এ ছবির কলাকুশলীদের বড় অংশই উত্তরবঙ্গের। আগামী ৭ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পেতে চলছে জলপাইগুড়ির একটি সিনেপ্লেক্সে

উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, ডুয়ার্সে শুটিং হয়েছে ‘গোয়েন্দা ঋজু’ ছবির। ২০২১ সাল থেকে এই ছবির শুটিং শুরু হয়। শিলিগুড়ির যুবক সাপ্তকী চক্রবর্তী ঋজুর ভুমিকায় অভিনয় করেছেন। জলপাইগুড়ির মেয়ে প্রীতিকা ভৌমিকও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। ছবির প্রযোজক মহুয়া চক্রবর্তী জানান, এই ছবির গল্প তিনি তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের কাছ থেকে শুনেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তা মনের মণিকোঠায় রেখেছিলেন সযত্নে। পরে তা নিয়ে লেখালেখি।

সেই গল্পকে কাজে লাগিয়ে এবার চিত্রনাট্যও তৈরি করে ফেলেছেন। তবে এই ছবি তৈরি করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে মহুয়াকে। বিশেষ করে আর্থিক সমস্যা ও প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তবে সমস্ত বাধা কাটিয়ে ছবির কাজ শেষ হয়। পোস্ট প্রোডাকশনও সারা। এবার ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। মহুয়া বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেকে উত্তরবঙ্গের এই ছবির হয়ে প্রচার করুক।”

নাম চরিত্রে অভিনয় করা সাপ্তকী চক্রবর্তী বলেন, “এমন অনেক প্রতিভা আছে, যারা টালিগঞ্জে গিয়ে প্রতিষ্ঠা পান না কিংবা পেরে ওঠেন না। তাই এখানকার ছেলেমেয়েরা এখানে ছবি করে তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পেলে এর থেকে ভাল আর কী বা হতে পারে। সেটাই আমরা চেষ্টা করেছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ছবি তৈরি হলেও ছবির প্রোমোশন বা মার্কেটিং চ্যালেঞ্জ হিসাবেই আগাগোড়া থেকে গিয়েছে। আগামিদিনে সেই পাথারও ডিঙিয়ে ফেলতে চান এ ছবির পরিচালক, কলাকুশলীরা।