Died One: বাঁয়া গণেশের নামে ত্রস্ত গ্রাম, মাঝরাতে গ্রামে ঢুকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল…
Jalpaiguri: এলাকার লোকজন জানান, শুক্রবার গভীর রাতে হাতির চিৎকার কানে এসেছিল তাঁদের। তবে ভেবেছিলেন, ঘরবাড়ি বা ক্ষেতের ফসল হয়ত নষ্ট করেছে।
ধূপগুড়ি: বাঁয়া গণেশের হামলায় (Elephant Attack) মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। স্কুলের পিছন থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় স্কুলের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। আচমকাই সেখানে হানা দেয় বিশালাকার ওই হাতি। ঘুমের মধ্যেই টেনে নিয়ে গিয়ে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে তাঁকে। অভিযোগ, তাতেই ক্ষান্ত হয়নি সে। বিশাল পায়ের তলায় পিষেও দেয় ওই ব্যক্তিকে। শুক্রবার ভোরে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা আঙরাভাসা এলাকার সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের গিল্ড মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই গিল্ড মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাতে থাকতেন তিনি। এদিনও সেখানেই ঘুমিয়েছিলেন। এরপরই এই ঘটনা। শনিবার সকালে গ্রামবাসী দেখতে পান ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশেই রয়েছে হাতির পায়ের ছাপ। এলাকাবাসীর কথায়, নিয়মিত ডুয়ার্সে হাতির আতঙ্ক বাড়ছে। উদ্বেগে এলাকার লোকজন।
এলাকার লোকজন জানান, শুক্রবার গভীর রাতে হাতির চিৎকার কানে এসেছিল তাঁদের। তবে ভেবেছিলেন, ঘরবাড়ি বা ক্ষেতের ফসল হয়ত নষ্ট করেছে। তবে শনিবার সকালে গিয়ে দেখেন এই ঘটনা। বনদফতরে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে যান বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকার বাসিন্দা বিবেক প্রধান বলেন, “আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দেখি ওই লোকটা স্কুলের বারান্দায় নেই। তারপরই দেখি দেহ পড়ে আছে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ফোন এসেছিল গ্রামে হাতি ঢুকেছে। আমরা বেরোইনি কেউ। রাত দেড়টা নাগাদ আবার খবর পাই হাতি এসেছে। হাতির আওয়াজও পাই। তখনই মনে হয়েছিল কিছু একটা করেছে। ও কোনও ক্ষতি করতে গেলে তার আগে এরকম চিৎকার করে। তারপর সকালে তো দেখি একজনের দেহ পড়ে আছে। হাতিই মেরেছে। সোনাকলি জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে।”
বাঁ দাঁত ভাঙা, তাই এই হাতির নাম বাঁয়া গণেশ বলে দাবি বনদফতরের। বাঁয়া গণেশের রাগের বহর আগেও দেখেছে ডুয়ার্সের মানুষ। এলাকাবাসীর ক্ষোভ রয়েছে বনদফতরের উপর। তাঁদের কথায়, কোনও ঘটনার পর বনদফতরকে খবর দেওয়া হলেও তারা আসে না। আসতে দেরী করে। হাতির উপদ্রবও বেড়েছে। অথচ তারা কোনও আগাম ব্যবস্থাও নেয় না। যদি হাতির কোনও দল বেরিয়ে আসে তা হলে বিপদ আরও বাড়বে।