Didir Doot: ‘চার মাস এলাকা জলে ডুবে থাকে’, ‘দিদির দূত’ বিধায়ককে দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের কর্মীরাই
Jalpaiguri: রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এদিন ঠাকুরনগর এলাকায় গেলে তাঁকে দেখে ছুটে আসেন দলের কর্মীরা। স্থানীয় নেতারা চেষ্টা করেছিলেন যাতে কোনও বিড়ম্বনার পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
জলপাইগুড়ি: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হিসাবে জনসংযোগে গিয়ে এবার ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক। এ ক্ষোভ উগরে দিলেন খোদ দলেরই কর্মীরা। সোমবার ‘দিদির দূত’ হয়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। সঙ্গে ছিলেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নুরজাহান বেগম। ওই এলাকার যেতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদেরই একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও এ নিয়ে বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এক বাড়িতে সাত ভাই থাকলে তাদের মধ্যেও মনোমালিন্য হয়। দলেও তেমনটা হতেই পারে। এসব সাময়িক বলেও দাবি করেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দিদির দূত হিসাবে গিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মোকাবিলা করতে হচ্ছে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মুখপাত্র জেলা পরিষদের নেতাদের। এবার সেই ছবি দেখা গেল উত্তরবঙ্গেও।
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এদিন ঠাকুরনগর এলাকায় গেলে তাঁকে দেখে ছুটে আসেন দলের কর্মীরা। স্থানীয় নেতারা চেষ্টা করেছিলেন যাতে কোনও বিড়ম্বনার পরিস্থিতি তৈরি না হয়। তবে তা আটকানো যায়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয় নেতারা আটকানোর চেষ্টা করলেও তা সরিয়েই বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষও ছিলেন।
এলাকার জলমগ্ন পরিস্থিতি, পানীয় জলের সমস্যা, পথের আলোর সমস্যা, স্কুলের শিক্ষক সমস্যার-কথা সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভাবঅভিযোগ শোনেন বিধায়ক। এরপর বেশ কিছু সমস্যা দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। আনারকলি চৌধুরী নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “জলের সমস্যা, নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বছরে তিন চার মাস জলে ডুবে থাকি। আজকের সমস্যা নয়। ২০ বছর হয়ে গেল এই অবস্থার। আমরা বিধায়ককে জানালাম। বিধায়ক বললেন দরখাস্ত দিতে। উনি দেখবেন।”
এ বিষয়ে খগেশ্বর রায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় মানুষের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। ড্রেন নেই বা অন্যান্য সমস্যার কথা বললেন। এক এক জায়গায় গিয়ে দেখলাম স্কুলে শিক্ষক নেই। জাবরাপিটা হিন্দি প্রাইমারি স্কুলে দেখলাম ৩৭৯ জন পড়ুয়া। শিক্ষক নেই। আমি ম্যাডামের কাছে জানতে চাইলাম, ডিআইকে জানিয়েছেন? দরখাস্তই করেননি। তা হলে কী করে হবে। আমি বললাম, দরখাস্ত করে আমাকে কপি দিন। এত ছেলেমেয়ে, তিনজন শিক্ষক হয় কোনওদিন? দরখাস্ত পর্যন্ত করেনি। আমি বলেছি, লিখিত আকারে সবটা দিতে। আর ক্ষোভ বিক্ষোভ তো থাকবেই। সাত ভাইয়ের ভাইয়ে ভাইয়ে ক্ষোভ হয় না। সেরকম দলের অন্দরেও থাকবে।”