Jalpaiguri: ফিনাইলের জারে জল পাঠিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে, মুখ খুলল কর্তৃপক্ষও
Jalpaiguri News: সোমবার দুপুরে বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন হয় জলপাইগুড়ি শহরের ডিভিসি রোডে অবস্থিত বিজেপি জেলা কার্যালয়ে।
জলপাইগুড়ি: জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি (BJP)। ফিনাইলের জারে জল পাঠিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্ফোরক দাবি করে তারা। যদিও জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষর দাবি, যে ছবি দেখানো হচ্ছে, তা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট। জলের মতো দেখতে বিশেষ তরল পদার্থ। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
সোমবার দুপুরে বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন হয় জলপাইগুড়ি শহরের ডিভিসি রোডে অবস্থিত বিজেপি জেলা কার্যালয়ে। সেখানে একটি নীল রঙের ফিনাইলের জার সামনে রেখে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী-সহ দলের নেতারা। তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে ফিনাইল নিয়ে অভিযোগ তোলেন।
বাপি গোস্বামীর দাবি, ফিনাইলের জারটি স্বাস্থ্য দফতরের। যে ফিনাইলের জার সরবরাহ করা হচ্ছে জেলা হাসপাতালে, সেখানে জল থাকছে। কেন্দ্র সরকার স্বাস্থ্যের জন্য যে টাকা দিচ্ছে তা কার্যত জেলায় লুঠ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বাপি গোস্বামী বলেন, “জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরে সরকার থেকে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার ফিনাইল দেওয়া হয়। সেই ফিনাইলের ড্রাম জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এসেছে। আমাদের কাছে খবর ছিল এই ড্রামে ফিনাইল থাকে না, শুধু জল থাকে।”
এ বিষয়ে তিনি উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন। যদিও সুশান্ত রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। জেলার ওষুধ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানেন। জারে কী আছে সেটা তাঁরাই বলতে পারেন।
জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের উপ-অধ্যক্ষ কল্যান খাঁয়ের বক্তব্য, “যে জারের ছবি আমি দেখলাম সেটা ফিনাইলের জার নয়। সেটা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট সলিউশনের জার। এটা এক প্রকার বিশেষ তরল যা জীবাণুমুক্ত করতে কাজে লাগে। এটা আমাকে স্টোরে খবর নিয়ে দেখতে হবে এটা সত্যি আমাদের সাপ্লাই কি না। যা দেখানো হচ্ছে আমাদের হাসপাতালেরই কি না। না দেখে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগও তাঁর কাছে আসেনি। যদি লিখিত অভিযোগ পান, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, হাসপাতালের এই জার বাইরে গেল কীভাবে? কল্যাণ খাঁয়ের জবাব, এই জার আদৌ হাসপাতালের স্টকের কি না খতিয়ে দেখতে হবে।