Jalpaiguri TMC: ‘সুপারিশপত্রে থাকা নাম পর্ষদের তালিকায়’, টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগে সরব বিজেপি

TMC vs BJP: অভিযোগের তীর তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের বিরুদ্ধে। যদিও যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ বিজেপির, সেই সময় তিনি জেলা সভাপতি পদে বসেননি। সেই সময় তিনি ছিলেন ক্রান্তি ব্লকের তৃণমূল নেত্রী।

Jalpaiguri TMC: 'সুপারিশপত্রে থাকা নাম পর্ষদের তালিকায়', টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগে সরব বিজেপি
জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 8:35 PM

জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি নাকি মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ তুলল জেলা বিজেপি শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর এমন অভিযোগ ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। অভিযোগের তীর তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের বিরুদ্ধে। যদিও যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ বিজেপির, সেই সময় তিনি জেলা সভাপতি পদে বসেননি। সেই সময় তিনি ছিলেন ক্রান্তি ব্লকের তৃণমূল নেত্রী। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।

কী রয়েছে সেই সুপারিশপত্রে?

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের প্যাডে চাকরির একটি ‘সুপারিশপত্র’ ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ভাইরাল হওয়া সেই সুপারিশপত্রে সই ছিল মহুয়া গোপের। লেটারহেডটি ছিল ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের। তাতে তিনজনের নাম ছিল। তাঁদের রোল নম্বরও উল্লেখ করা ছিল সেখানে। উপরে লেখা ছিল ‘ফর প্রাইমারি’। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট ভেন্যু এবং সঙ্গে তারিখের কথা উল্লেখ ছিল। যদিও সেই সময় মহুয়া গোপ দাবি করেছিলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

কী অভিযোগ বিজেপির?

এবার কিছুদিন আগেই ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজেপির দাবি অনুযায়ী, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে মহুয়া গোপ যে তিনজনের নামে সুপারিশ করেছিলেন, সেই তিনজনেই টেট পাশ করেছিলেন। যদিও সেই তিন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ফের সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির।

সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “সত্য কোনওদিন চাপা থাকে না। কোনও না কোনওভাবে বেরিয়ে পড়ে। সেদিন যখন আমরা মহুয়া দেবীর সুপারিশপত্র নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম, তখন উনি আমাদের সম্বন্ধে অনেক বাজে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্ষদের লিস্টে দেখা যাচ্ছে তাঁর সুপারিশ পত্রের তিনজনের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, এখন আবার বলছি, এদের চাকরি টাকার বিনিময়ে হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক সিবিআই।”

অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেত্রীর

বিজেপির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এটা অনেকদিন আগেকার কথা। আমার ঠিক মনে নেই। তবে আমার সুপারিশে যদি তিনজনের চাকরি হয়ে থাকে তবে খারাপ কি?” তবে টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি করছি। আমি তৃণমূলের বিভিন্ন পদ সামলে এখন জেলা সভাপতি। সবাই জানে আমি কেমন। আসলে বিজেপি পঞ্চায়েত ভোট প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই আমার বিরুদ্ধে এখন কুৎসা শুরু করছে।”