সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে পড়েছিলেন প্রৌঢ়, এরপরই মর্মান্তিক পরিণতি
Jalpaiguri: উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে বড় ফায়ারিং রেঞ্জ হল টোটগাঁও ও সাওগাঁ বস্তি সংলগ্ন তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চর।
জলপাইগুড়ি: সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে পড়ায় মর্মান্তিক পরিণতি ৫৫ বছরের এক ব্যক্তির। রক্তাক্ত হয়ে প্রাণ হারালেন তিলক বাহাদুর নামে ওই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বাগরাকোট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিস্তা চরের টোটগাঁও এলাকায়। টোটগাঁও বস্তির বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিলক গবাদি পশু নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তিস্তা নদীর চরে গবাদি পশু চড়াতে যান। অভিযোগ, সেই সময় কোনওভাবে ফায়ারিং রেঞ্জের ভিতরে ঢুকে পড়তেই প্রশিক্ষণরত সেনাবাহিনীর গোলাগুলির আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত বলেন, “বাঁকড়া কোট এলাকায় একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হবে। পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে বড় ফায়ারিং রেঞ্জ হল টোটগাঁও ও সাওগাঁ বস্তি সংলগ্ন তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চর। প্রত্যেক বছর শীতের শুরু থেকেই প্রায় ছ’মাস ধরে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এখানে এসে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। এর আগেও মহড়ার মাঝে ঢুকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে গবাদি পশু। সেনার তরফে সতর্কতামূলক প্রচার করা হলেও সাধারণ মানুষ এরকম ভুল প্রায়শই করে বসেন। তাতেই কখনও কখনও বড়সড় বিপত্তি ঘটে যায়।
সূত্রের খবর, তিলক বাহাদুর রাইয়ের ছেলে বাইরে থেকে কাজ করেন। এদিনই ফোনে তাঁকে খবর দেওয়া হয়। জয়পুরে কাজ করেন তিনি। মঙ্গলবার সেখান থেকে বাগরাকোটে ফেরার কথা তাঁর। এরপর বাবার ময়না তদন্তের পর পরবর্তী যা পারলৌকিক ক্রিয়া রয়েছে সেগুলি করা হবে।