‘কোথায় CPIM নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট?’ বিজেপি বলছে, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’
CPIM Leader: অপরদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য এর পিছনে ‘চক্রান্ত’ দেখছেন। বলেন, “আমরা এই অভিযোগের তদন্ত করে দেখেছি এসব ভিত্তিহীন। আসলে এটা একটা রাজনৈতিক খেলা। আজকে প্রদীপের নামে এই অভিযোগ হয়েছে। কাল আরও পাঁচজনের নামে হতে পারে।”
জলপাইগুড়ি: সিপিএম নেতার নামে পোস্টার। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন জেলা সম্পাদক। সিপিএমের জেলা কমিটির বর্তমান সদস্য প্রদীপ দে। গত বছর তিনি DYFI এর জেলা সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দলীর এক কর্মীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে। সেইসময় শহর জুড়ে পোস্টার পড়ে। নিন্দার ঝড় ওঠে। তদন্ত কমিটিও তৈরি হয়। অভিযোগ প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।
এরপর শনিবার ফের জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়া এলাকায় পোস্টার পড়ে। ‘তদন্ত রিপোর্ট কোথায়? দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।’ পোস্টারের নিচে লেখা মহিলা সুরক্ষা কমিটি। এই পোস্টার ঘিরেই শোরগোল জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক আঙিনায়। যদিও প্রদীপ দে বলছেন, “তিনি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর কথায়, কারও যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তবে সে পোস্টার না লাগিয়ে থানাতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করুক। আসলে জেলা সম্মেলন এসেছে। তাই এসব করা হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে।”
অপরদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য এর পিছনে ‘চক্রান্ত’ দেখছেন। বলেন, “আমরা এই অভিযোগের তদন্ত করে দেখেছি এসব ভিত্তিহীন। আসলে এটা একটা রাজনৈতিক খেলা। আজকে প্রদীপের নামে এই অভিযোগ হয়েছে। কাল আরও পাঁচজনের নামে হতে পারে। এসবকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
এই খবরটিও পড়ুন
এই ঘটনায় সিপিএমকে খোঁচা মেরেছেন বিজেপি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। তিনি বলেন, “বাম আমলে সিপিএম প্রচুর মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। সেই সময় তারাই ক্ষমতায় থাকার ফলে কোনও সঠিক তদন্ত হত না। সব ধামা চাপা দেওয়া হত। কিছু দিন আগে জলপাইগুড়িতে এই খবর চাউর হওয়ার পর আমরা সংবাদ মাধ্যমে সিপিএম তদন্ত কমিটি গঠন করার খবর দেখেছিলাম। কিন্তু কেন সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল না? তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।”