Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri Woman harassment: তরুণীকে ধর্ষণ,কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা, কেস না নিয়ে উল্টে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ IC-র বিরুদ্ধে

Dhupguri: বাগুইআটির জোড়া খুনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এর মাঝেই আবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে চাঞ্চল্য।

Dhupguri Woman harassment: তরুণীকে ধর্ষণ,কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা, কেস না নিয়ে উল্টে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ IC-র বিরুদ্ধে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 8:31 AM

ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। সেখানেও বাগুইআটি জোড়া খুনের মত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। দোষীকে না ধরে পুলিশ নাকি নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের চাপ দিচ্ছে। কিন্তু কেন হঠাত্‍ প্রতিবেশীদের চাপ দিচ্ছে পুলিশ?

বাগুইআটির জোড়া খুনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এর মাঝেই আবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে চাঞ্চল্য। ঘটনার সূত্রপাত ৩০ অগাস্ট ধূপগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে নির্যাতিতা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক।

অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পর এতদিন কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে, পুলিশ নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে।

এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘বাড়ি থেকে আসামীকে তুলছে না। চুপচাপ আছে। আমাদের যে লোক প্রতিবাদ করছে ওদেরকে চাপ দিচ্ছে। পুলিশ এই কাজ করছে।’ নির্যাতিতার প্রতিবেশী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের উপর চাপ দিচ্ছে। আসামীকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ আর এক প্রতিবেশী জানান, ‘আমাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইসি ধমক দিয়ে বলছে তোরা টাকা খেয়েছিস। এমন কেসে ফাঁসাবো না।’

এ দিকে, সরাসরি ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন নির্যাতিতার বাবা ও প্রতিবেশীরা। এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন সুজয় তুঙ্গা। সুজয় একসময় ভক্তিনগর থানার আইসি ছিলেন।২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারিতে ক্লোজ করা হয়। রপর ধূপগুড়ি থানায় আসেন সুজয়।

জেলা পুলিশ অবশ্য আইসি সুজয় তুঙ্গার পাশে দাঁড়িয়েছেন। টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন,’পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক।’

এই ঘটনা নিয়ে ধূপগুড়িতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। জলপাইগুড়ি বিজেপি জেলা সম্পাদক মাধবচন্দ্র রায় বলেন, ‘এই আইসি যা আরম্ভ করেছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও এমন করে না। পুলিশ এখন তৃণমূলের সংগঠন দেখার দায়িত্ব নিয়েছে। তৃণমূলের লোককে বাঁচাতে হবে না।’

রবিবার নির্যাতিতার বাড়ি যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ধূপগুড়ি গ্রামীণ তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপু রায় বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা দলীয় ভাবে তদন্ত করে দেখব।’

কেন গ্রেফতার হচ্ছে না অভিযুক্ত? অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে জেলা বিজেপি। মিছিল,সভা করেন বিজেপি নেতারা। সব মিলিয়ে ধর্ষণকাণ্ডে ক্রমশ চাপ বাড়ছে পুলিশের ওপর।