BJP Workers: বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, উত্তরবঙ্গে ধুন্ধুমার

Nabanna March: কামাখ্যাগুড়ি, শামুকতলা ও আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে বিজেপি সমর্থক ও কর্মীদের পুলিশ টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

BJP Workers: বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, উত্তরবঙ্গে ধুন্ধুমার
বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 5:54 PM

তুফানগঞ্জ ও আলিপুরদুয়ার: নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতা আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের জন্য আস্ত ট্রেনও ভাড়া করেছে বিজেপি। কিন্তু তাঁদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং তুফানগঞ্জে। ধূপগুড়ি বিন্নাগুরি, নাগরাকাটা, বানারহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় একই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ, অভিযানের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিজেপি কর্মীদের কোথাও ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ, আবার কোথাও কর্মীদের আটক করছে।

১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মীদের নিয়ে আসতে ৭টি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে গেরুয়াশিবির। সোমবার বিকালেই সেই সব ট্রেন শিয়ালদহ ও হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা। তুফানগঞ্জ থেকেও একটি ট্রেন আসার কথা। সোমবার তুফানগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। রেল স্টেশনে যাওয়ার পথ লোহার ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ব্যারিকেডের জেরে গেরুয়াশিবিরের কর্মীরা স্টেশনে ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায় বিজেপি কর্মীরা।

আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি থেকে নবান্ন অভিযানে যাওয়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদেরও আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। কামাখ্যাগুড়ি, শামুকতলা ও আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে বিজেপি সমর্থক ও কর্মীদের পুলিশ টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানকার স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, শতাধিক বিজেপি কর্মীদের রাজ্য পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানকার নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান ঘোষও উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে।

ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “এই ভাবে আটকালে আমাদের জবাব দিতে হবে।” বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের গলাতেও এক সুর। রূপা বলেছেন, “এর আগেও আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছেন। আমরা চুপচাপ বসে বসে মার খাব না।”

সুকান্ত বলেছেন, “আলিপুরদুয়ার, তুফানগঞ্জের ভিতরে পুলিশ ঢুকে বাধা দিচ্ছে। রেল চত্বরে রাজ্যের পুলিশের ঢোকার অধিকার নেই। স্টেশনে কোনও অভিযান থাকলে অনুমতি নিতে হয়। জোর করে ঢুকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন, বিজেপি কর্মীরপা রাজপথে নামলে তাঁর গদি নড়বড়ে হবে। তাই তিনি নবান্নে থাকবেন না। ভয়ে জেলায় চলে যাচ্ছেন। আর তাঁর পুলিশ বাধা দিচ্ছে।“