Alipurduar: বালি-পাথর-ডলোমাইট কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ভাই, চড়ছে রাজনীতির পারদ
Alipurduar: শাসক দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা দাবি করেছেন, "কুন্দন নয়, তাঁর দাদা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামাকে গ্রেফতার করা উচিত।"
আলিপুরদুয়ার: বীরপাড়ায় বালি,পাথর ও ডলোমাইট কাণ্ডে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামার ভাই কুন্দন লামাকে। শনিবার নেপাল সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শাসক দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা দাবি করেছেন, “কুন্দন নয়, তাঁর দাদা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামাকে গ্রেফতার করা উচিত।” তিনি বলেন, “ধরা হচ্ছে, ছাড়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে। এখানে এই নিয়ে সেফ করিডোর হয়েছে। বাঁধ ভেঙে পাথর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। নদী থেকে বালি, পাথর, ডলোমাইট পাচার করা হচ্ছে। লংকাপাড়া হেরিটেজ বাংলো শেষ হয়েছে, কত জিনিস যে শেষ হয়েছে…তার ইয়ত্তা নেই।”
এদিকে এই বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী অবশ্য বলেন, “এটা জেলা প্রশাসনের ব্যাপার। সঞ্জয় লামা তো জড়িত নয়। তাঁর ভাই হতে পারে। পুলিশ ব্যাবস্থা নেবে। দলের অবস্থান স্পষ্ট। আমার ব্লক প্রেসিডেন্টের ভাই কী করছে, তার দায়িত্ব তো আমরা নেব না। তদন্ত হবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার। আমার বলার এক্তিয়ার নেই। এর মধ্যে কেউ যুক্ত হলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সে যে কোনও দলেরই লোক হোক না কেন।” সঙ্গে মৃদুল বাবুর আরও সংযোজন, “যারা অন্যায় করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।” মোটের উপর পুলিশের তদন্তে খুশি আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান।
এদিকে বালি, পাথর, ডলোমাইট কাণ্ডে ইতিমধ্যে বীরপাড়া থানার ওসি প্রেম কুমার থামিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় থানার এএসআই পাপ্পু বর্মণকে ক্লোজ করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ প্রশাসন। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী। ফলে ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে এবং বর্তমানে কোন পথে তদন্ত এগোচ্ছে, সেই বিষয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানা যায়নি।