Elephant: একটু খাবার হবে? রাস্তার উপর বাস থামিয়েই চলল দাঁতালের ‘তল্লাশি’
Elephant in Jhargram: দাঁতালের এমন কাণ্ডে রীতিমতো গেল গেল রব বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের। আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছেন সবাই। দাঁতালের ভয়ে বাসের দরজা-জানালা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দলমা থেকে আসা প্রায় শতাধিক দাঁতালের দল। জঙ্গলে খাবারের আকাল। তাই খাবারের সন্ধানে দলমার দাঁতালের দল জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাঁপিয়ে বেরাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে বাঁদরভুলা,সিজুয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে হাতির তাণ্ডব। এরই মধ্যে আবার বাস থামিয়ে খাবারের খোঁজ চালাল দাঁতাল। স্থানীয়দের তৎপরতায় হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে সরানো হলে তারপর বাসটি আবার গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। তবে বাসের সামনে হাতি এসে পড়ার এই ঘটনায় বাসে থাকা যাত্রীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তেমনই ওই এলাকার বাসিন্দারাও হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
যেভাবে হাতির দল ওই এলাকায় দাপিয়ে বেরাচ্ছে, তাতে যে কোনও সময় বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। বাসে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বনদপ্তর কে জানানো হয়। উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া,পাচামি, ছোট চাঁদাবিলা এলাকায় সন্ধে নামলেই হাতির দলের আগমন হয়। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতি পাচামি এলাকায় রাস্তার উপর দাপিয়ে বেরাচ্ছে। ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী জামবনি ব্লকের কুমরী, শুষনি, কেন্দুয়া,বাহিরগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামেও ওই হাতির দলটি তান্ডব শুরু করেছে। শুধু ঘরবাড়ি ভাঙচুরই নয়, পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি করছে হাতির দল। বিভিন্ন ফলের বাগানে গিয়ে আম, কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে।
সন্ধ্যার পর কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রাত কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। কয়েকদিন হাতির তাণ্ডবের ফলে গ্রামবাসীরা রাতে ঠিক মতো ঘুমোতেও পারেননি। গ্রামবাসীরা বিষয়টি বন দফতরকে জানিয়েছে । কিন্তু বন দফতরের কাজে খুব একটা খুশি নন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বারবার জানানো সত্ত্বেও বন দফতর ওই হাতির দলকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে সন্ধে ছ’টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত ওই এলাকার জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতির যাত্রা পথে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদেরও বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরাও সজাগ রয়েছেন। সেই সঙ্গে হাতি তাড়ানোর কাজে যুক্ত হুলা পার্টির লোকেরাও রয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর।
দেখুন ভিডিয়ো