Mamata Banerjee: গাড়ি থামালেন, শুনলেন অভাব-অভিযোগ, মমতা রইলেন ‘মমতা’তেই
Mamata Banerjee: রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগ সব শোনালেন গ্রামবাসীরা। মন দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিলেন।
বেলপাহাড়ি: ঝাড়গ্রামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তাঁর কনভয়। হঠাৎ থমকে দাঁড়াল গাড়ি। নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এগিয়ে গেলেন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে। স্থানীয় মহিলারা একটু হতচকিত হলেন। তবে তা কয়েক মুহূর্তের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেই কেটে গেল দ্বিধা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগ সব শোনালেন। মন দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিলেন।
ঝাড়গ্রামের মুচিবাঁধ গ্রাম। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, তাঁরা প্রশাসনের কাছ থেকে বাড়ি পাননি। পানীয় জলেরও সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সেসব সমস্যার কথাই আজ তুলে ধরেন তাঁরা।
Our Hon’ble Chief Minister Smt @MamataOfficial visited a village at Jhargram today.
She interacted with the locals, heard their concerns, & assured them of optimum assistance.
Walking in the footsteps of Bhagwan Birsa Munda, we will continue to stand by our Tribal community! pic.twitter.com/wOtcAMxNEH
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 15, 2022
গ্রামের মহিলাদের সব অভাব-অভিযোগ শোনেন মমতা। অফিসারদের বিষয়টি দেখতে বলেন। একটি বাড়িতেও ঢুকে যান তিনি। এক মহিলার কাছ থেকে শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করেন। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কার্যত মিশে যান তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে রওনা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় চলে যাওয়ার পর গ্রামের মহিলারা বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা বাড়ি পাইনি বলে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।”
আজই বেলপাহাড়ির সভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন মমতা। বলেন, “কেন্দ্র আমায় বলে এক টাকাও দেব না। তাহলে আমরাও বলতে পারি জিএসটি দেব না। ১০০ দিনের টাকা ফিরিয়ে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা দিতে হবে। ওরা মানুষকে প্রতারিত করছে।”
মুচিবাঁধ গ্রামের পর মাগুড়ায় ফের থামে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। একটি চপের দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। দোকানদার তখন ফুলুরি ভাজছিলেন। মমতা দোকানদারের সঙ্গে ফুলুরি ভাজতে শুরু করেন। তারপর সবাইকে তা দেন।
বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘চাদর’ সরিয়ে তিনি তখন যেন গ্রামের বাসিন্দাদেরই একজন। সেই ছবি আজ দেখা গেল ঝাড়গ্রামেও। মমতা রইলেন মমতাতেই।