Mamata Banerjee: ‘এবার কি পায়ে ধরব?’, আদিবাসী ভাবাবেগে শান দিয়ে মোদীকে ‘গদি’ ছাড়ার হুঁশিয়ারি মমতার
Mamata Banerjee: মঙ্গলবার বেলপাহাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দেগে বলেছেন, কেন্দ্র একশো দিনের টাকা দিচ্ছে না। জিএসটির টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, রাঙা মাটিতে পা দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার মধ্যে অখিল মন্তব্যে আদিবাসী-জনজাতির মধ্যে ক্ষোভের আঁচ। এই আবহে মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে এসে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরসা মুন্ডার জন্ম-জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে আদিবাসীদের ভাবাবেগে শান দিলেন যেমন, তেমনই বিভিন্ন খাতে টাকা না দেওয়ায় কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তিনি। একশো দিনের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ এনে এ দিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড়ও করলেন মমতা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেক একাংশের।
কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার মানুষের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে, মানুষকে বঞ্চনা করছে। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যকে প্রাপ্য টাকাই দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বাধ্যতা মূলক।’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আমি এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। এবার কি পায়ে ধরতে হবে? আমাদের টাকা দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে।’ সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও, প্রধানমন্ত্রীতে মমতা ‘নরম’ ছিলেন বলে মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু এ দিন সরাসরি মমতা বললেন, টাকা না দিলে গদি ছাড়তে হবে তাঁকে।
মমতার বক্তব্য, “কেন্দ্র গ্রামীণ রাস্তাগুলির তৈরির টাকা দিচ্ছে না। অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও তো বন্ধ করে দিতে পারি! কেন কেন্দ্রকে জিএসটির টাকা দেব? সব টাকা তোমরা নিয়ে যাচ্ছ। ১০০ দিনের টাকা বিজেপির টাকা নয়। পথে নামুন। আমি সঙ্গে থাকব।”
এদিন বেলপাহাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি ৪০ ফুটের বিরসা মুন্ডার মূর্তি উন্মোচন করেন মমতা। স্বাধীনতা আন্দোলনে বীরসার ভূমিকা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘সাঁওতালি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা শিক্ষাশ্রী পান। এখানে নতুন মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প হয়েছে। ৫০ হাজার পাট্টা বিলি করা হয়েছে। এদিন বেলপাহাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝ রাস্তায় নেমে আদাবাসী গ্রামবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে দেখা যায় তাঁকে।