AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Load Shedding Problem: এনায়েতপুরে ‘লোডশেডিং’ উধাও! মন্ত্রী বলছেন, ‘১০ মিনিট ঘাটতি হলেই মানুষ ছটফট করে’

Load Shedding Problem: গ্রামবাসীরা আজ প্রশ্ন তুলেছেন, তিনটি টাওয়ার না বসাতে পারার জন্যেই নাকি বেহাল অবস্থা! তাহলে দু-মাসেরও বেশি সময় পরে এই প্রথমবার লোডশেডিং-এর সমস্যা মিটল কী করে? শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের দাবি, যেখানে তার বদলালেই সমস্যার সমাধান করা যেত, সেখানে টাওয়ার বসানোর আগে সেই তার বদল করা হয়নি কেন?

Load Shedding Problem: এনায়েতপুরে 'লোডশেডিং' উধাও! মন্ত্রী বলছেন, '১০ মিনিট ঘাটতি হলেই মানুষ ছটফট করে'
মালদহে লোডশেডিংImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2024 | 3:58 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: লোডশেডিং-এর সমস্যায় জেরবার রাজ্যের বহু মানুষ। সেই ইস্যুতে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে মালদহে এনায়েতপুরে। আর সেই ঘটনার পর আর আলো নেভেনি এনায়েতপুরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেও লোডশেডিং হয়ে যায়। আর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আর লোডশেডিং হয়নি এনায়েতপুরে। একেবারে ঝকঝকে আলো। লো ভোল্টেজের সমস্যাও উধাও। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কী করে হল?

বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, টাওয়ার বসানোর সমস্যার জন্য এনায়েতপুরে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। সেই সঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, লোডশেডিং বলে রাজ্যে আর কিছু নেই। লোডশেডিং শব্দটাই মুছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে।

গ্রামবাসীরা আজ প্রশ্ন তুলেছেন, তিনটি টাওয়ার না বসাতে পারার জন্যেই নাকি বেহাল অবস্থা! তাহলে দু-মাসেরও বেশি সময় পরে এই প্রথমবার লোডশেডিং-এর সমস্যা মিটল কী করে? শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের দাবি, যেখানে তার বদলালেই সমস্যার সমাধান করা যেত, সেখানে টাওয়ার বসানোর আগে সেই তার বদল করা হয়নি কেন?

মাত্র কয়েক জন ছাড়া গোটা এনায়েতপুর গ্রাম বিশেষ করে মোমিনপাড়া এলাকা জনশুন্য। পুরুষরা আগেই পালিয়েছিল। আজ সকাল থেকে পুলিশের অভিযান অভিযান বেড়ে যাওয়ায় মহিলারাও ঘর ছেড়েছেন। অন্যত্র বাগানে লুকিয়ে রয়েছেন অনেক মহিলাও। সন্তানদের পাঠিয়েছেন আত্মীয়র বাড়ি অন্য কোথাও। জুম্মাবারে ফাঁকা মসজিদও।

এদিকে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামানের বক্তব্য, বিদ্যুৎ বিভ্রাট বলে আর কিছু নেই। তিনি বলেন, “যে কোনও যন্ত্র চালিত মেশিনেই বিভ্রাট ঘটে। বিভ্রাট হবে না, এই গ্যারান্টি কেউই দিতে পারবে না। বিদ্যুৎ থাকছে না তা নয়, কোথাও যান্ত্রিক গোলযোগ থাকলে ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।”

সেই সঙ্গে বামফ্রন্ট আমলের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। আখরুজ্জামান বলেন, আমরা ২৪ ঘন্ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোডশেডিং-এর শিকার হয়েছিলাম। এখনকার প্রজন্ম সেটা জানে না। এখন ১০ থেকে ২০ মিনিট বিদ্যুতের ঘাটতি হলেই মানুষ ছটফট করে। আমাদের কোনও বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। আধঘণ্টা, এক ঘণ্টার বেশি কোনও সমস্যা হয় না।