পাশের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে অবস্থান ছাত্রীদের, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ!
HS: বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, "সরকারের নিয়ম ছিল সবাইকে পাশ করানোর। যদি কোনও আত্মহত্যা করা হয়, আপনাদের ছাড়া হবে না। শিক্ষিকা যারা রয়েছেন, আপনারা সবাই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন।''

মালদহ: উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করানোর দাবি তুলে স্কুলে তালা মেরে রাজ্য সড়ক অবরোধ ছাত্রীদের। এদিকে অবস্থানরত ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। তৃণমূলের অভিযোগ, পড়ুয়াদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক। গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের নালাগোলায়।
এদিন সব অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীকে পাশের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরা। শনিবারের তীব্র বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। এর আগে শুক্রবার বিকালেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন এই ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গার্লস হাইস্কুলের বিক্ষোভকারীছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক উদয়ন ভৌমিক। তিনি জানান, আগামী সোমবার কলকাতায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও বিক্ষোভে ভাটা পড়েনি।
উল্লেখ্য, এই স্কুলের ১৮৩ জন এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র ৯০ জন ছাত্রী। এই প্রেক্ষিতে ছাত্রীদের আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। ভিডিয়ো দেখিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, বিধায়ককে বলতে শোনা যাচ্ছে ছাত্রীরা আত্মহত্যার হুমকি দিন।
এদিকে বৃষ্টিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রশাসন ছুটে এলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এদিকে অবস্থান ওঠাতে লাঠি চালাতেও দেখা যায় এক পুলিশকে। লাঠির ঘায়ে আহত হন এক ছাত্রী।
এর পর ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়, বিজেপি বিধায়ককে। তাঁকে এক ছাত্রী জানান, সবাইকে পাশ করাতে হবে। তিনি এও বলেন স্কুলের ম্যাডাম বলছেন, তোদের নম্বর দেওয়া যাবে না। তার পর বিডিও-র কাছে যান তাঁরা। পড়ুয়াদের দাবি, এতগুলো ফেল কী করে হয়! এর পরেই বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, “সরকারের নিয়ম ছিল সবাইকে পাশ করানোর। যদি কোনও আত্মহত্যা করা হয়, আপনাদের ছাড়া হবে না। শিক্ষিকা যারা রয়েছেন, আপনারা সবাই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন।”
আর এর পরেই শুরু হয় শিক্ষিকাদের সঙ্গে বিধায়কের তর্কাতর্কি। এক শিক্ষিকাকে বলতে শোনা যায়, মালদহ জেলাতেই নয়, অনেক জায়গায় এমন ভুল হয়েছে। কিন্তু বিধায়ক হয়ে কীভাবে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কথা বলছেন তিনি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, শিক্ষাক্ষেত্রের একটি বিষয় নিয়েও রাজনীতি করছেন বিজেপি বিধায়ক। আর তার জন্য পড়ুয়াদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে এ দিনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার কলকাতা যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কথা হবে কাউন্সিলের সঙ্গে। আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের পেগাসাস, রাজ্যসরকারের পুলিশ, নজরদারি জারি আছেই’, তোপ সূর্যকান্তের





