Malda Murder: খুনের খবর সংগ্রহে বাধা TV9 বাংলাকে, কারণ খুঁজতে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য!
Attack on TV9: বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সোনুর বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ভাঙুচর চালানো হয়। রাস্তার মধ্যে জিনিসপত্র জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হয় টিভি নাইন বাংলাকে।
মালদা: স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে মালদার ইংরেজবাজারে। ছাত্রীর মুণ্ডহীন দেহ মিলেছে ঝোপের ভিতরে। আর মাথা পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় এক বাড়ির ছাদে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হল টিভি নাইন বাংলাও।
সোনু নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই সোনুকে জেরা করেই খুনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। এরপর রাতে দেহ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। সেই সময় ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরাও ছিলেন। অভিযোগ, তখন থেকেই টিভি নাইন বাংলা-সহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়। কয়েকজনের মোবাইল ফোন কেড়ে ছবি নষ্ট করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সোনুর বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ভাঙুচর চালানো হয়। রাস্তার মধ্যে জিনিসপত্র জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হয় টিভি নাইন বাংলাকে। তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত কয়েকজন, টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এরপর এলাকা থেকে একটু দূরে লাইভ সম্প্রচারে ছিলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি শুভতোষ ভট্টাচার্য ও শেখ মুজিবর। সে সময় আবারও তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন কয়েকজন। ক্যামেরাপার্সন মুজিবরের থেকে ক্যামেরা কেড়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন হঠাৎ সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা? কেন খবর সংগ্রহে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে? খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানা গেল, এই এলাকায় মাদক পাচারের একটি র্যাকেট চলছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই চক্রের সঙ্গে এই অভিযুক্তও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় কিছু মানুষজন।
এর পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভার এই এলাকার কাউন্সিলর পলি সরকারের সঙ্গে চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণে দ্বন্দ্বের বিষয় নিয়ে অতীতে বিভিন্ন কাটাছেঁড়া হয়েছে। সেই দ্বন্দ্বের বিষয়টি যাতে আবার নতুন করে সামনে না চলে আসে, সেটা ঠেকাতেই কি সংবাদমাধ্যমকে বাধা? সেই প্রশ্নও উঠে আসছে।
যদিও সংবাদমাধ্যমের উপর এই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদার তৃণমূল নেতা আশিস কুণ্ডু বলছেন,’কী কারণে হামলা হয়েছে, কারা হামলা করেছে, সেটা পুলিশের খতিয়ে দেখা দরকার। সাংবাদিকতার উপর হামলা গণতন্ত্রে কখনও বরদাস্ত করা যায় না।’