Malda: গাছ থেকে ঝুলছে নবাবের দেহ, খুন করা হয়েছে, ভেজা চোখে বলছে পরিবার
Malda: ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। রাতভর খোঁজ করেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। বাড়ছিল চিন্তা। তারমধ্যে আসে খবরটা।
মালদহ: কয়েকদিন আগেই দিদিমার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল বছর চোদ্দোর ছেলেটা। কিন্তু, কে জানত আর বাড়ি ফেরা হবে না। ভালুকা ফরেস্ট থেকে উদ্ধার হল নবাব সিরাজউদ্দৌলা নামে ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রতুয়া থানার বাটনা গ্রামে। এখানেই দিদিমার বাড়িতে এসেছিল ওই কিশোর। এদিন সকালে ভালুকা ফরেস্টের মধ্যে একটি গাছে কিশোরকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায় গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে ওই কিশোর। তারপরই খবর যায় ভালুকা ফাঁড়িতে। খবর যায় হরিশচন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কিন্তু, এটা খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। রাতভর খোঁজ করেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। বাড়ছিল চিন্তা। এরইমধ্যে এদিন সকালে তাঁদের কাছে খবর আসে জঙ্গলের মধ্যে এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে কেউ বা কারা পরিকল্পিতভাবে মেরে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসিরুল রহমান বলেন, “১০টা নাগাদ খবরটা পাই। আমাদের আশেপাশের এলাকার লোকজনই প্রথম দেহটা দেখতে পেয়েছিল। তারপর আমরা ছুটে আসি। দেখি একটা ছেলে ঝুলছে গাছ থেকে। তারপরই খবর যায় পুলিশ। পুলিশ এসে দেহটা নিয়ে গিয়েছে। ছেলেটার গলায় দাগ আছে। আত্মহত্যাও করে থাকতে পারে, আবার কেউ খুনও করে থাকতে পারে। ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি কেউ একে খুন করে থাকে তাহলে আমরা খুনির শাস্তি চাই।”