CBI visits Malda: মানিকচকে ধর্ষিতা নাবালিকার বাড়িতে সিবিআই, তদন্তে আরও গতি চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা

Malda minor girl physically harassed: তদন্তভার হাতে নিয়েই সিবিআইয়ের দিল্লির দফতর থেকে হাজির হন ৪ জন প্রতিনিধি। তাঁরা দীর্ঘক্ষন ধর্ষিতা নাবালিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

CBI visits Malda: মানিকচকে ধর্ষিতা নাবালিকার বাড়িতে সিবিআই, তদন্তে আরও গতি চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 10:35 PM

মালদা: মানিকচকের নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তভার নিল সিবিআই। আর তদন্তভার হাতে পেয়েই মালদার মানিকচকের ধর্ষিতা নাবালিকার বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের চার প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য চলতি বছরের ৪ জুন মানিকচক থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে । স্থানীয় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের একদিন পর ঘটনাটি জানাজানি হতেই ধর্ষিতা নাবালিকার মা মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও শেষে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে ।বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষক বিচারাধীন বন্দী। মানিকচকের এই ধর্ষণ কাণ্ডকে ঘিরে তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি ।

বিজেপির তরফ থেকে বারবার নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই এর হাতে দেওয়ার দাবি জোরদার হয় । আর কয়েকদিন আগেই এই ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তভার রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সিবিআই এর হাতে।

তদন্তভার হাতে নিয়েই সিবিআইয়ের দিল্লির দফতর থেকে হাজির হন ৪ জন প্রতিনিধি। তাঁরা দীর্ঘক্ষন ধর্ষিতা নাবালিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তবে ঠিক কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে, বা কী কী বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করেছেন তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সিবিআই বা ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ।

তবে সিবিআইয়ের তদন্তভার গ্রহণে বেজায় খুশি এলাকাবাসী। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আট বছর বয়সি ওই নির্যাতিতা এলাকারই এক প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। নির্যাতিতার বাবা শিলিগুড়িতে একটি কারখানায় কাজ করেন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ‘ চকোলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিনে বাড়ির পাশেই আমবাগানে খেলতে গিয়েছিল শিশুটি। আমবাগানটি ওই অভিযুক্ত  শিক্ষকেরই। অভিযোগ, তখনই শিশুটিকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখায় অভিযুক্ত শিক্ষক। তার পর ওই শিশুটিকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার সময় শিশুর এক তুতো দিদি তাকে আমবাগানে খুঁজতে এসেছিল। তখনই সে শিক্ষকের বাড়ির জানলা দিয়ে গোটা ঘটনাটি দেখে ফেলে এবং শিশুটির পরিবারকে সব জানিয়ে দেয় ।

স্থানীয় ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করে মানিকচক থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

তবে এখন সিবিআই ঘটনার তদন্তভার নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা এবং নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।

আরও পড়ুন: TMC: ‘আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, এলাকাতেও থাকবে না’, ট্রান্সফরমারে তালা দিলেন তৃণমূল নেত্রী!