College Admission: ৫০০-এ ৪৭০! রেজাল্ট নিয়ে কেবল কলেজের ‘দুয়ারে-দুয়ারে’ ঘুরছেন পড়ুয়ারা

College Admission:মালদা কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, প্রতিবছরের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ অধিক পড়ুয়ারা ভর্তির আবেদন জানিয়ে ফর্ম ফিলাপ করেছেন।

College Admission: ৫০০-এ ৪৭০! রেজাল্ট নিয়ে কেবল কলেজের 'দুয়ারে-দুয়ারে' ঘুরছেন পড়ুয়ারা
গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়, ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 3:59 PM

মালদা: উচ্চমাধ্যমিকে (HS examination) ঢালাও পাশ। প্রায় সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪০০-র ঘর পেরিয়েছে। কিন্তু, কলেজে ভর্তি (College Admission) হতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ুয়াদের। ঢালাও নম্বরের মার্কশিট নিয়ে কেবল এক কলেজের দুয়ার থেকে অন্য কলেজের দুয়ারে যাওয়াই সার! ভর্তি হতে পারছেন না অধিকাংশই। কারণ, আসন সীমিত। বিপুল সংখ্য়ক এই পড়ুয়ারা কোথায় জায়গা পাবেন? আদৌ কোনও কলেজে তাঁরা ভর্তি হতে পারবেন কি না তা নিয়েও থাকছে আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় একই ছবি। পরিস্থিতি সামলাতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে (University of Gour Banga) বিকল্প ব্যবস্থার আর্জি মালদা কলেজের।

মালদা কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, প্রতিবছরের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ অধিক পড়ুয়ারা ভর্তির আবেদন জানিয়ে ফর্ম ফিলাপ করেছেন। শুধু মালদা কলেজ নয়, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রায় সব কলেজেই এক ছবি। প্রতিবারের থেকে প্রায় একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ভর্তির আবেদন। প্রায় ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়েছে এই বছর। পাশের হারের তুলনায় প্রত্যেক কলেজেই আসন সংখ্যা সীমিত। ফলে, পড়ুয়ারাও পছন্দমতো বিষয় নিয়ে কলেজে ভর্তি (College Admission) হতে পারছেন না। এদিকে, আসন সীমিত থাকায়, উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না অনেকেই। আদৌ তাঁরা কোনও কলেজে আসন পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে।

মালদা কলেজে ভর্তি হতে আসা এক পড়ুয়ার কথায়, “৫০০তে ৪৭০ পেয়েছি। আমার মতো এমন কতজন রয়েছে জানা নেই। ফিজিক্স অর্নাস নিয়ে পড়তে চাই। কিন্তু জায়গা কই? সব ভর্তি। ওয়েটিং লিস্টের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। জানি না আদৌ ভর্তি হতে পারব কি না। এবছর আর পড়া হবে কি না।”

শুধু মালদা কলেজ নয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ছবি। গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অপূর্ব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় অনেকবেশি ফর্ম ফিলাপ হয়েছে তিন জেলায়। মালদা,উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সব কলেজেই একই অবস্থা। গতবারের তুলনায় মালদাতেই ভর্তির আবেদন হয়েছে ৫১ শতাংশের বেশি।বাকি দুই জেলাতেও কাছেপিঠে একই অবস্থা। তবে তাঁর আশ্বাস, ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হবেই। ভর্তির জন্য় বিকল্প কী হতে পারে তা চিন্তা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে আসন সংখ্য়া বাড়ানোর আর্জি জানানো হবে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছিল রাজ্য সরকার। বাতিল হয়েছিল সিবিএসই ও আইসিএসই পরীক্ষাও। মূলত, একাদশ শ্রেণির প্রাপ্ত নম্বর ও দ্বাদশ শ্রেণির অন্তবর্তীকালীন প্রকল্পভিত্তিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় ধরেই উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে এবার পাশের হার ৯৮ শতাংশ ছুঁইছুঁই। মোট ৫০০-র মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯ পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন মুর্শিদাবাদের কান্দির ছাত্রী রুমানা সুলতানা। পাশ করেছেন প্রায় ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী। অকৃতকার্য মাত্র ২০ হাজার।

এই পরিস্থিতিতে কার্যত পড়ুয়াদের ভবিষ্যত ও উচ্চতর শিক্ষায় অনিশ্চয়তার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ভর্তি যেখানে এত অনিশ্চিত, সেখানে করোনার জেরে এখনও বন্ধ পঠনপাঠন। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ধীরে ধীরে খোলার পরিকল্পনা করলেও কার্যত অচল বলাই চলে। ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন হলেওে করোনা আবহে পরবর্তী পঠনপাঠন কোন পদ্ধতিতে চলবে তা নিয়েও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: অর্জুনের বাড়িতে বোমাবাজি, তদন্ত করুক NIA, দাবি শুভেন্দুর

আরও পড়ুন: Kamarhati: সংক্রমণ কমলেও স্বস্তি নেই, স্বাস্থ্যশিবিরে উপচে পড়ছে কলেরা আক্রান্তের ভিড়!