Malda: ডুবতে বসেছে গোটা গ্রাম, ভাঙনের তীব্রতা দেখেও ‘নীরব দর্শক’ প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের

Malda: ভাঙন রোধে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মালদহের মানিকচক ব্লকের নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দারা।

Malda: ডুবতে বসেছে গোটা গ্রাম, ভাঙনের তীব্রতা দেখেও ‘নীরব দর্শক’ প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 7:21 PM

মালদহ: বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির দাপট দেখা গিয়েছে। একাধিক জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এদিকে বর্ষার মাঝেই গঙ্গার ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে মালদহের (Malda) মানিকচক ব্লকের নারায়নপুর এলাকা মানুষদের। লাগাতার ভাঙন চলতে থাকলেও প্রশাসনের তরফে ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আর তাতেই আরও বেড়েছে উদ্বেগ। এদিকে ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন সেচ দফতরের (Irrigation Department) আধিকারিকরা। কিন্তু, তারপরেও কেনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে যে ভাবে নদীর রুদ্ররুপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে ঘর-বাড়ি সমেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী প্রায় ৫০টি পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তা এসেছেন। এলাকা ঘুরে দেখেছেন। বলেছেন কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনওরকম কাজই শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। আর ঠিক সেই কারণেই ক্ষোভ বেড়েছে এলাকায়। দ্রুত প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

এ প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা সামীর আলি বলেন, “যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে মনে হচ্ছে এ এলাকা আর থাকবে না। প্রশাসনকে জানালেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি। ঠিক মতো কাজ বলে আজ এই অবস্থা হত না। বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও আদপেই কোনও কাজ হয়নি। আমরা এখন কোথায় যাব জানি না। এর জন্য সরকারই দায়ী।” আর এক বাসিন্দা তেহালা বিবি বলেন, “এখন সত্যিই জানিনা আমরা কোথায় যাব। মরব কী বাঁচব জানি না। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে কী হবে বুঝতে পারছি না। এর আগে সরকারের তরফে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। সমগ্র ঘটনার জন্য সরকারই দায়ী।” যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, “ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হবে।”