River Erosion in Malda: গঙ্গায় ভাঙন রুখতে কত অঙ্ক বরাদ্দ? সেচ প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কের মুখে মিলছে না টাকার হিসেব
Malda: রাজ্যের শাসক দলের অন্দরেই ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ নিয়ে দুই রকমের কথা। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।
মালদা : গঙ্গার ভাঙন মালদার নদী তীরবর্তী এলাকায় একটি অন্যতম বড় সমস্যা। ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। চিন্তায় প্রশাসনও। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বরাদ্দ করা হচ্ছে টাকাও। কিন্তু সেই বরাদ্দ করা টাকার পরিমাণ কত? টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই জনের মধ্যে দুই ররকম কথা। কেউ বলছেন বরাদ্দকৃত অর্থ ৪২ কোটি টাকা। আবার কেউ বলছেন বরাদ্দ হয়েছে ৬০ কোটি টাকা, তবে সেই টাকা খরচ হবে বর্ষার পরে। আপাতত ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে। যাঁরা বলছেন, তাঁদের মধ্যে একজন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। আর অন্যজন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। রাজ্যের শাসক দলের অন্দরেই ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ নিয়ে দুই রকমের কথা। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।
বর্ষার মরশুম শুরু হতেই মালদার নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মালদা জেলার মানিকচক এলাকায় নারায়ণপুরে এবং গোপালপুর এলাকার বালুটোলায় বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নদী ভাঙন চলছে। দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে এলাকাবাসীদের। অনেকেই ভাঙনের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য়ত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৫০ টি পরিবার অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। যাঁরা রয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরও রাত কাটছে আতঙ্কে। ভাঙনের এই পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন এবং সেচ দফতরও।
সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “এখানে আমাদের একটি ৬০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট তৈরি আছে। সেটা আমরা পেয়ে যাব। কিন্তু এখন তো কিছু করা যাবে না। বর্ষার পরে আমরা সেই কাজ করব। কারণ, এখন করলে, পুরোটা জলেই যাবে। ওটা আমাদের করতে হবে বর্ষার পরেই করতে হবে।” মন্ত্রী আরও জোর দিয়ে বলেন, “৬০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। এটা রাস্তা-ঘাটের কাজ নয়, এটা ভাঙন আটকানোর কাজ। স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করতে হলে আমাদের বর্ষার পরে কাজ করতে হবে। এখন ৫০ লাখ টাকা দিয়ে কাজ চলছে। নজরদারি করছি আমরা।”
এদিকে এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানান, “গঙ্গায় ভাঙন হচ্ছে। আমি পরশু দিন থেকেই শুনতে পেয়েছি। গোপালপুর এবং বালুপুরেও গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে। কিছু জায়গায় ভয়ঙ্কর অবস্থা আছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাই। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। টাকাটা যাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তার জন্য চেষ্টা করেছি। পরে সেখানকার কাজ করার জন্য ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের রাজ্য সরকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।”
শাসক দলের দুই জনের মুখে দুই রকম অঙ্ক প্রসঙ্গে জেলার বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মণ্ডল, “সাবিত্রী মিত্র বলছেন ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আদৌ কিছু করা হয়নি। মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে। লোক ঠকানো হচ্ছে। মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।”