Maldah Corruption: কেন্দ্রের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, প্রতিবাদী শিক্ষককে পিষে খুনের চেষ্টার অভিযোগ
Maldah Corruption: প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল মানিকচক ব্লকের ভূতনি অঞ্চলের উত্তর চণ্ডীপুর কালীতলা ঢাল থেকে ধম্মোতলা পর্যন্ত।
মালদা: কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নিম্নমানের রাস্তার কাজ করার অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে বালি সিমেন্ট মেশানোর মেশিনে ফেলে পিষে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল চাঞ্চল্য মালদায়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়ে রাতভর চলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, তাণ্ডব। গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে কাজ বন্ধ করে দেন। এই ইস্যুতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলিও। মাঠে নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল দু’শিবিরই। অভিযুক্ত ঠিকাদার ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাই তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল মানিকচক ব্লকের ভূতনি অঞ্চলের উত্তর চণ্ডীপুর কালীতলা ঢাল থেকে ধম্মোতলা পর্যন্ত। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন একটি ঠিকাদার। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালদার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। যিনি অভিযোগকারী তিনিও তৃণমূল নেতা। পেশায় শিক্ষক।
অভিযোগ, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাঁকেই বালি সিমেন্টের সঙ্গে মেশিনে পিষে খুনের চেষ্টা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সার্বিক রিপোর্ট চেয়েছেন জেলাশাসক। গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে, এই কাজ বন্ধ রাখতে দিনভর রাস্তার ধারে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তৃণমূল নেতা আশিস কুণ্ডু বলেন, “ওখানে রাস্তার কাজ যা হচ্ছে তা খুব খারাপ। আর এর প্রতিবাদ করেছিলেন ওই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষক। তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়, বালি সিমেন্টের মিক্সচার মেশিনে ঢুকিয়ে। যাঁরা করেছেন, তাঁরা সমাজবিরোধী, দুষ্কৃতী। আর ঠিকাদারের কোন রাজনৈতিক রঙ নেই। থাকার কথাও নয়।”
বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৫ কিলোমিটার কাজ হচ্ছিল। ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার প্রায় সবটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। কোনওক্রমে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা হছিল নিন্মমানের জিনিস দিয়ে।” তাঁর সংযোজন, “ঠিকাদাররা সব তৃণমূলের লোক, লুঠপাট চলছে কেন্দ্র সরকারের টাকা। প্রতিবাদ করতে গেলে এসবেই সাধারণ মানুষকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। গোটা রাজ্যের দশাই এই রকম।”