Arrested: অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গোপন ডেরায় হাজির ডাকাতদল, খবর পেয়ে হানা দিল পুলিশও
Maldah: ধৃতরা ডাকাতির উদ্দেশে সুজাপুরে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় একটি গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিল।
মালদহ: ডাকাতির বড়সড় ছক ছিল। সেইমতোই হয়েছিল জমায়েতও। তবে পুলিশও সতর্ক ও তৎপর থাকায় কালিয়াচকে বড় ডাকাতির পরিকল্পনা বানচাল করা সম্ভব হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে সুজাপুর এলাকায় হানা দেয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। পাঁচজনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের নাম করিমুল্লা শেখ, মুজাফ্ফর রহমান, কাসেদ আলি, বাবলু শেখ ও আশিক শেখ।
করিমুল্লা, মুজাফ্ফর, কাসেদ কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সুজাপুর এলাকার বাসিন্দা। আশিক শেখ সুলতানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এবং বাবলু শেখের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ১৮ মাইলের খেজুরিয়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ডাকাতির উদ্দেশে সুজাপুরে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় একটি গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিল। পরিকল্পনা ছিল, সময় সুযোগ বুঝে কাজ সারবে। কিন্তু পুলিশের কাছে আগেই খবর যায়।
এরপরই শীতের রাতে ওই দলের গোপন ডেরায় হানা দেয় কালিয়াচক থানার উর্দিধারীরা। সেখান থেকেই পাঁচজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে তিনটি ওয়ান শটার-সহ ১০ রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করে। কোথায় কী পরিকল্পনা ছিল, তা জানতে ধৃতদের জেরা শুরু করেছে পুলিশ।
নেশা চক্র ফাঁস, উদ্ধার প্রচুর নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ
অন্যদিকে কালিয়াচকের কলেজ মোড়ে একটি গাড়ি আটক করে ৭০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ওই গাড়ি থেকে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের নাম মিনারুল ইসলাম ও বাবু শেখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনই মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানা এলাকার জোতকামাতের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি ফেনসিডিলের বোতলগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযান চালানোর সময় একটি গাড়িকে ধাওয়া করে তারা। গাড়িটি আটক করে তল্লাশি শুরু করতেই দেখা যায় সেখানে বোঝাই ফেনসিডিলের বোতল। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ মাদক পাচার বিরোধী এনডিপিএস আইনে মামলা দায়ের করেছে। ধৃতদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।