Mamata Banerjee Abhishek Banerjee: ‘জল মাপার’ নবজোয়ারে ‘বিশৃঙ্খলা’, এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে মমতা?
Mamata Banerjee Abhishek Banerjee: গোপন ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মসূচির শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে একাধিক জায়গায়। হয়েছে অশান্তি, একাধিক বিভ্রান্তিও। সেই সমস্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই কি এবার আসরে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
মালদহ: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি সপ্তাহ খানেক পার হয়েছে। গোপন ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ নিয়ে কর্মসূচির শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে একাধিক জায়গায়। হয়েছে অশান্তি, একাধিক বিভ্রান্তিও। সেই সমস্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই কি এবার আসরে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। মমতা ও অভিষেকের জোড়া সভা রয়েছে মালদহে। এই প্রথম তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মমতা ও অভিষেক একসঙ্গে সভা করবেন। নব জোয়ার কর্মসূচিতে একদিকে যেমন তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস নজরে পড়েছে। তেমনি চাঁচল কিংবা আরও একাধিক জায়গায় ব্যালট বাক্স নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। শাসকদলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, এই বিশৃঙ্খলা আসলে মানুষের অতি উৎসাহের লক্ষ্মণ।
যদিও বিরোধী দলের অভিযোগ, যদি প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হবে? বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতাও যোগ দেবেন এই কর্মসূচিতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতেই, লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামানোর পাশাপাশি, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক শাসক শিবিরের অন্যতম গুরুত্বের বিষয়। এখানেই মালদার ইংরেজবাজারে মমতা-অভিষেকের একমঞ্চে থাকা রাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের কারণ হিসেবে অনেকেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙনের কথা বলছেন। সেই সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল। অন্যদিকে, মালদহের হরিশচন্দ্রপুর, রতুয়া, কালিয়াচকে কংগ্রেসে যোগদানের খবর বাড়ছে। তাতেও উদ্বিগ্ন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে, মমতা অভিষেকের জোড়া সভা নিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “মালদার বেকার যুবক যুবতীর চাকরি চুরি গিয়েছে। দুটি সিটি মালদার মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে ২০২৪ সালে উপহার দেবে।” অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আসলে অভিষেক একা পারছেন না। তাই আরেকজনকে ডেকে নিয়েছেন। অভ্যেস নেই তো এতো বাইরে ঘুরে বেড়ানোর। কেবল প্রতীকী ভোটেই ব্যালট বাক্স লুঠ হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মমতা মাঠে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ অভিষেক কন্ট্রোল করতে পারছেন না। গম্ভীর হয়ে থাকলে, বড় বড় ভাব নিলেই আর হিরো হওয়া যায় না। গাড়ির ওপরে উঠলে দেবের সিনেমা হতে পারে, তার বেশি কিছু হবে না।পরিবর্তন কিছু হবে না।”
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, এটা জল মাপা। ভাইপো জল মাপতে গিয়েছিলেন, দেখা গেল ডাল গলছে না। তাই ফোর্সটাকে এনফোর্স করতে হবে। এবার কালীঘাটের রেজিমেন্ট যাচ্ছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আমি বলছি এটা নব ভাঁটা। সেখানেই যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”