Snake saver: এলাকায় ‘স্নেক সেভার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন! সেই সাপই কেড়ে নিল প্রাণ

Malda: সেখানে সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

Snake saver: এলাকায় 'স্নেক সেভার' হিসেবে পরিচিত ছিলেন! সেই সাপই কেড়ে নিল প্রাণ
মৃত্যু স্নেক সেভারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 8:46 AM

মালদা: মৃত্যু স্নেক সেভারের। সাপ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর এমনটাই খবর।

মৃতের নাম বঙ্কিম স্বর্ণকার (৩০)। মালদার ইংরেজবাজার থানার শোভানগরের বাসিন্দা তিনি । জেলায় কারও বাড়িতে বিষধর সাপ দেখতে পেলেই ডাক পড়তো তাঁর । বন দফতরের তরফেও তাঁকে কাজে লাগানো হয়েছে। একাধিকবার নিজের হাতে ভয়ংকর বিষধর সাপ ধরে বনদফতরের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি ।

অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও পুখুরিয়া এলাকায় বিষধর সাপ ধরতে যান বঙ্কিম। জানা গিয়েছে, সেখানে সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

শোভানগর, মিল্কি, পুখুরিয়া, আড়াই ডাঙ্গা, মানিকচক সহ বিভিন্ন এলাকায় কারও বাড়িতে বিষধর সাপ দেখতে পেলেই ফোন যেত বঙ্কিমের কাছে। ফোন পেয়ে হাতে স্টিক নিয়ে সাপ ধরতে ঘটনাস্থানে পৌঁছে যেতেন তিনি। তবে সাপ ধরার জন্য তার কোনও প্রশিক্ষণ ছিল কিনা তা বলতে পারেননি কেউ। বিষধর সাপ ধরে সে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিত বা বন দফতরের হাতে তুলে দিত। শেষে সাপের কামড়েই ওই যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোভানগর এলাকায়।

উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগেই খবরে আসে সাপে কামড়ানোর এমনই খবর। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা কালীচরণ রায় (২৩)। সকালে বিছানা তুলতে গিয়ে দেখেন বিছানায় রয়েছে একটি সাপ (Sanke)। কালীচরণবাবুর চিৎকার শুনে পরিবারের সকলে সেখানে চলে আসেন। এরপর লাঠি দিয়ে সাপটি ধরতে যাওয়ায় কালীচরণ রায়ের হাতে সেটি কামড়ে দেয়। পরে বাড়ির সকলে মিলে সাপটিকে ধরে বস্তাবন্দী করে ফেলে।

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরিকে। খবর পেয়ে বিশ্বজিৎ বাবু হাসপাতাল ফিরে এসে দেখেন সাপটি একটি কমন ট্রিংকেট প্রজাতির। এরপর রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল চত্ত্বরে থাকা সকলের উদ্দেশ্যে সচেতনতা প্রচার করে তিনি। বলেন, “সাপ কামড়ালে অজথা সাপ ধরে সময় নষ্ট করবেন না। কারণ সাপ দেখে রোগীর চিকিৎসা হয় না। সাপে কাটা রোগীর নির্দিষ্ট নিয়মে চিকিৎসা হয়। আর সাপ ধরে সময় নষ্ট করলে যদি বিষধর সাপ কামড় দিয়ে থাকে তবে রোগীর বিপদ বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে যিনি সাপ ধরছেন তাকে সাপ কামড়ে দিলে আরও সমস্যা বাড়বে। তবে আজকের সাপটি একটি কমন ট্রিংকেট স্নেক, বাংলায় একে পংখীরাজ সাপ বলে। এটি একটি নির্বিষ প্রজাতির সাপ।”

আরও পড়ুন: North Bengal: সকালেই যেন নেমেছে সন্ধের অন্ধকার! দুর্যোগের আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গ