Gold trader: সোনা ব্যবসায়ীকে লুঠ দুষ্কৃতীদের, বাধা দিতে গেলে চোখে বিষাক্ত তরল ছুঁড়ে পালায় তারা

Malda: সেই সময় দুই জন দুষ্কৃতী হঠাৎ মুখে কাপড় বেঁধে এসে উপস্থিত হয় সেখানে।

Gold trader: সোনা ব্যবসায়ীকে লুঠ দুষ্কৃতীদের, বাধা দিতে গেলে চোখে বিষাক্ত তরল ছুঁড়ে পালায় তারা
এই হাসপাতালেই ভর্তি ব্যবসায়ী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 12:55 PM

মালদা: মুখে কালো কাপড়। কোনও ভাবেই বোঝা যাচ্ছে না কারোর চেহারা। হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে লুঠ সোনার ব্যবসায়ীকে। বাধা দিতে যাওয়ার পর হল বিপত্তি। মুখে বিষাক্ত তরল ছিটিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দিল তারা।

ঘটনাস্থান মালদার হরিশচন্দ্রপুর। সেখানে বাংলা-বিহার সীমান্ত লাগোয়া মুকুন্দপুর এলাকায় ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পোদ্দারের বাড়ি। রাতে কেডিয়া মোড় এলাকায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন স্বর্ণ ব‍্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পোদ্দার। সেই সময় দুই জন দুস্কৃতী হঠাৎ মুখে কাপড় বেঁধে এসে উপস্থিত হয় সেখানে। নগদ টাকা ও সোনার অলংকার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। এরপরই তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যবসায়ী। বাধা দিতে গেলে চোখে তরল ছিটিয়ে দেয় তারা। সেই কারণে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতেও পারেননি ওই ব‍্যবসায়ী।

পরে বিশ্বজিৎ বাবুর চিৎকারে এগিয়ে আসেন এলাকার লোকজন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।

বিশ্বজিৎবাবুর জামাইবাবু জানান, “আমার শ্যালক পেশায় সোনার ব্যবসায়ী। রাতের বেলা বাড়ি ফিরছিল।সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে মুখে কাপড় বেঁধে। তারা সব ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এরপর আমার শ্যালক ওদের বাধা দিতে গেলে ওর মুখে বিষাক্ত কিছু তরল ছিটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। তখন রাস্তায় পড়ে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে ও। সেই চিৎকারেই এলাকায় জড়ো হয় অনেকে। তারা উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে আমার শ্যালককে। চোখের পাশাপাশই গলাও জ্বালা করছে বলে জানিয়েছে সে। ”

উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব‍্যবসায়ীদের মধ‍্যেও। পুলিশ যেন আরও সক্রিয় হয়,সেই দাবি তুলেছেন ব‍্যবসায়ী মহল। আহত ব‍্যবসায়ীর পরিবার জানান,তরল পদার্থ এতটাই বিষাক্ত যে চোখ খুলতে পারছে না। আপাতত চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন বিশ্বজিৎ ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জেলায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে অপহরণ করা হয় রেশন ডিলারকে। তারপর মুক্তিপণ দাবি। পরে প্রত্যন্ত এক নদীর চর থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে।

সূত্রের খবর, অপহৃত রেশন ডিলারের নাম অমিত চৌধুরী। তাঁর ইংরেজবাজারের কাজিগ্রামে একটি রেশন দোকান ছিল। প্রতিদিনের মতোই দোকানে গিয়েছিলেন অমিত চৌধুরী। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ির জন্য রওনা দিতে যান তিনি। রীতিমত সিনেমার কায়দায় মুখ ঢেকে অমিতবাবুকে অপহরণ করে পাঁচ দুষ্কৃতীর একটি দল। জানা গিয়েছে, রাস্তায় প্রথমে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে দুষ্কৃতীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ ঢাকা পাঁচজন গাড়িতে তুলে চম্পট দেয় তাঁকে। এরপর পরিবারের কাছে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

আরও পড়ুন: Raiganj: রায়গঞ্জে উদ্ধার ২৫ শিশুকে পাঠানো হল চাইল্ড লাইনে! বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখে তারপরই মিলবে ছাড়