Child Death: ‘আমার কলার টেনে ধরেছিল’, আতঙ্কে চিকিত্‍সক, সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ‘তাণ্ডব’ হাসপাতালে!

Malda: হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী জানিয়েছেন, রোগীর পরিবারের অনেকে তাঁর উপরেও হামলা চালায়। মারধর করে। ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়।

Child Death: 'আমার কলার টেনে ধরেছিল', আতঙ্কে চিকিত্‍সক, সদ্যোজাতের মৃত্যুতে 'তাণ্ডব' হাসপাতালে!
হাসপাতালে ভাঙচুর, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 2:38 PM

মালদা: জন্মের পর পরেই হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সদ্য়োজাত (Newborn)। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টায় পেরল না। মায়ের কোল খালি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল নবজাতক। ঘটনায়, চিকিত্‍সায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় মৃত  শিশুর (child Death) পরিবার। শুক্রবার গভীর রাতে রতুয়ার ১ নম্বর ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।

ঠিক কী হয়েছিল? জানা  গিয়েছে, রতুয়া ব্লকেরই বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মহিলা মুন্নি খাতুন চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই হাসপাতালেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু, তখনও মা ও শিশু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে অবশেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া সদ্য প্রসবা মুন্নি ও তাঁর পুত্রসন্তানকে। এরপর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। তারপরেই  আচমকা মারা যায় শিশুটি। শুক্রবার, সদ্যোজাতের এভাবে আচমকা মৃত্যুতে কার্যত হাসপাতালকে  কাঠগড়ায় দাঁড় করায় পরিবার। এদিনই, হাসপাতালে এসে তাঁরা কর্তব্যরত চিকিত্‍সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, হাসপাতালের চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করেন। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে সেই ছবি।

তবে, চিকিত্‍সার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাল্টা, চিকিত্‍সক, স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এভাবে বারবার রোগীর পরিবারের হাসপাতালে এসে হামলা করা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসারের কথায়, “আমি ডিউটি দিচ্ছিলাম। সেইসময় মুন্নি খাতুন নামে এক মহিলা ও তাঁর পরিবারের কিছু লোক মৃত সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমি পরীক্ষা করে জানাই শিশুটি মারা গিয়েছে। সঙ্গে এটাও বলি, শিশুটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গিয়েছে। কেন মারা গিয়েছে তা এভাবে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু, হাসপাতালে এমন কিছু হলে নিশ্চই ব্যবস্থা করতাম। তখনই ওরা আমার কলার চেপে ধরে। মারধর করে। চেয়ার তুলে ছুড়ে মারবে বলে ঠিক করে। সেই সময় সিকিউরিটি গার্ড এসে আমায় বাঁচায়।”

হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী জানিয়েছেন, রোগীর পরিবারের অনেকে তাঁর উপরেও হামলা চালায়। মারধর করে। ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়। পুলিশ এসে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে  মুন্নির এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। এছাড়াও, তিনজনকে আটক করা হয়। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে রতুয়া থানার পুলিশ।

তবে, মালদায় গতকালই আরও একটি সদ্যোজাতর মৃত্য়ু হয়। জন্মের কিছু পরেই শুরু হয় শ্বাসের সমস্যা।  ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ে শিশুটি।  চাঁচলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। শিশুটির পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে। শিশুটির সমস্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় তাকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ভাউচার পেতেই প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা কেটে যায়। হাসপাতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রে কোনও লোক ছিল না ভর সন্ধ্যাতেও। কোলেই প্রাণ যায় শিশুটির। বারবার মালদায় এভাবে শিশুর মৃত্য়ুতে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য  পরিকাঠামো নিয়েও।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: জিজ্ঞাসাবাদই সার, সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম নেই শেখ সুফিয়ানের